আমাদের ভারত, ১২ আগস্ট: রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হবার পর বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর তা নিয়ে তৃণমূল ও দলের নেত্রীকে আক্রমণ শানালেন প্রাক্তন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায় গোটা দলটাই জেলে যাবে। জেলে গিয়ে ক্যাবিনেট মিটিং করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত মাসে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপরই গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। দুর্নীতির শেকড় কতটা গভীরে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এসবের মাঝেই দিল্লি থেকে ফিরে শিয়ালদা স্টেশনে নেমেই তৃণমূলকে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন, তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিগ্রস্থ। ওরা প্রত্যেকে জেলে যাবে। নেতা-মন্ত্রীরা কেউ বাদ যাবে না। এরপরই সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, এরপর মন্ত্রিসভার বা দলের কোনো মিটিং করতে মমতাকে জেলে যেতে হবে কারণ কেউই আর বাইরে থাকবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, আগে প্রতিটা ইস্যুতে, কুকুর বেড়াল মরলেও সিবিআই তদন্তের দাবি করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখন যখন তার দলের লোকজনের ঘর থেকে সম্পত্তি উদ্ধার হচ্ছে তখন আপত্তি।
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, “এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী দলে যারা রাজনীতি করেছেন বা কথা বলেছেন সেইরকম ৭৩১ জনকে মাদক কিংবা অজামিনযোগ্য অপরাধের মামলা দিয়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে। সেই লোকগুলো এখনও জেলে পচে মরছেন। তিনি দাবি করেন, বাংলার মানুষ আগে থেকেই সব জানত। ইডি সিবিআই যেভাবে গ্রেপ্তার করছে বাংলার ভাবমূর্তি ঠিক করার জন্য সেটা প্রয়োজন ছিল।