আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৬ জানুয়ারি: নিজেদের তৃতীয় বার্ষিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় তাক লাগানো পারফরম্যান্স উপহার দিল লাস্য ডান্স একাডেমী। মেদিনীপুর শহরের অন্যতম নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লাস্য ডান্স একাডেমীর ৩য় বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রদীপ জ্বালিয়ে। অনুষ্ঠানে অল্পকথায় স্বাগত বক্তব্যে সবাইকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি সবার শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও আশীর্বাদ কামনা করেন একাডেমীর অধ্যক্ষা নৃত্যশিল্পী তপস্বিনী ভট্টাচার্য।
মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক হরিপ্রসাদ সরকার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্র গবেষক বিবেকানন্দ চক্রবর্তী, সঙ্গীত শিল্পী জয়ন্ত সাহা, নৃত্যশিল্পী অনুসূয়া ঘোষ ব্যানার্জি, বাচিক শিল্পী অমিয় পাল, নৃত্য শিল্পী সবিতা সাহা, স্বস্তি মুখোপাধ্যায়, সঙ্গীত শিল্পী সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, সঙ্গীত শিল্পী হায়দার আলি, রবীন্দ্র স্মৃতি সমিতির সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র ওঝা, লেখক অখিলবন্ধু মহাপাত্র, সাহিত্যিক বিদ্যুৎ পাল সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। বিভিন্ন ধরনের নৃত্য শৈলীর সংমিশ্রণে অভিনব মঞ্চ পরিকল্পনা, পোশাক ভাবনার মাধ্যমে এক দুরন্ত নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশন করে লাস্য ডান্স একাডেমীর কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বড়রা।
অনন্যা পান্ডের রচনায় অর্ণব বেরা ও বৃষ্টি মুখার্জির সুললিত কন্ঠে সুমধুর ভাস্য উপস্থাপিত “আমার ছোট্ট সে গ্রাম” শীর্ষক নৃত্যানুষ্ঠান এবং অখিলবন্ধু মহাপাত্রের রচনায় শতাব্দী গোস্বামী চক্রবর্তীর ভাস্য উপস্থাপিত “আগুন পাখি” শীর্ষক নৃত্যানুষ্ঠান ছিল এদিনের অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ।অনন্যা উপস্থাপনার পাশাপাশি এগুলির বিষয়ভাবনা ও তপস্বিনী ভট্টাচার্যের অংশগ্রহণ ও তত্বাবধানে অসাধারণ নৃত্যশৈলী উপস্থাপন গোটা
অনুষ্ঠানটিকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দেয়।
এদিন সমাজসেবার কাজে বিশেষ অবদানের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, মেদিনীপুর ছাত্র সমাজ,মাসা, দুঃস্থের ছায়া ও ইচ্ছেডানাকে লাস্য ডান্স একাডেমীর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান নিজের সুমধুর বাচনভঙ্গিতে সঞ্চালনা করেন অর্ণব বেরা। তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল মাইতিসহ অন্যান্য শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান অধ্যক্ষা তপস্বিনী ভট্টাচার্য।