আমাদের ভারত, ৭ নভেম্বর: সামনেই ভোট। তার আগে তৃণমূল, বিজেপি রাজ্যের দুই যুযুধান দল প্রায়শই জড়িয়ে পড়ছে বাক বিতন্ডায়। নদিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, আর সহ্য করা হবে না। এবার মারের বদলে পাল্টা মার হবে।
বোলপুরে গিয়ে এক সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার নদীয়ায় তাঁর কনভয়ের ঘটনার প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, “আমি নদীয়াতে ছিলাম। আমার কনভয়ের পেছনের দুটো গাড়িতে হামলা করেছে। আমি ছিলাম না, একটু এগিয়ে গিয়েছিলাম। পরে ফিরে গেছি। বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে হালকা করে একটু আদর করেছি, তাতেই চিৎকার করছে বিজেপি মেরেছে, মেরেছে, মেরেছে।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “আরে এটা তো শুধু ট্রেইলার। ভোট আসুক, পুলিশটা নিরপেক্ষ হোক। পুরো সিনেমা তৃণমূল কংগ্রেসকে দেখাবো। পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে নেব, যদি বিজেপির সাথে মারামারি করতে আসে।”
এরপরেই তিনি পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া দেশের অন্য কোনো রাজ্যে ভোটে হিংসা হয় না বলে দাবি করে বলেন, “বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, বিজেপি হিংসায় বিশ্বাস করে না। যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় আছে কোথাও মারামারি, গন্ডগোল হয় না। বিহারে ভোটে হিংসার কোনো খবর নেই। সেখানে আরামসে ভোট হচ্ছে।”
এরপরেই হুঙ্কার দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের মারতে আসলে ভাই আমরা কিন্তু ছেড়ে কথা বলবো না। ২১ সাল থেকে অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি।”
তাঁর অভিযোগ, আমাদের বোলপুরে পার্টি অফিস ভাড়া নেওয়া ছিল। তাকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কাজল শেখ, করিম শেখ বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়ি ভাঙ্গচুর করেছে। হিন্দু মহিলাদের সম্মানহানি করেছে। তাদের আমরা ছেড়ে দেবো না। এদের ঠিক জায়গা মত প্যাকেট করে পাঠানোর দায়িত্ব ভারতীয় জনতা পার্টির।
একইসঙ্গে বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি বলেন, সব রাজ্যই কালো অধ্যায় থেকে বেরিয়ে এসেছে, কেবল পশ্চিমবঙ্গ বাদে। কারণ বাংলায় এমন এক শক্তি কাজ করছে, যতদিন তারা থাকবে ততদিনে কালো অধ্যায় চলবে। তিনি আরো যোগ করেন, বিহারে প্রথম দফার নির্বাচন চলছে, কোথাও কোনো গোলমাল হয়নি। ভোট গ্রহণ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। লালু প্রসাদের আমলে যেমন হিংসা হতো, বিহার এখন সেই অন্ধকার যুগ পেরিয়ে এসেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আজও সেই অন্ধকারই রাজত্ব করছে।

