আমাদের ভারত, ৩০ জুলাই: রাজ্যের এক প্রাক্তন বিডিওর বিরুদ্ধে সুকান্ত মজুমদারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। তাকে ওই আধিকারিক হোয়াটসঅ্যাপে সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে হুমকির সুরে অসম্মান জনক কথা বলেছেন বলে দাবি রাজ্য বিজেপি সভাপতির। মণিপুরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বাজে উক্তি করেছেন হরিরামপুরের প্রাক্তন বিডিও।
সুকান্তর মজুমদারের দাবি, হরিরামপুরে প্রাক্তন ভিডিও শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায় হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে লিখেছেন আপনারা না জিতলে পরনের কাপড় আর থাকবে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বক্তব্য, একজন সরকারি আধিকারিকের কি আদৌ এই ধরনের কথা বলার এক্তিয়ার আছে? গোটা বিষয়টি তিনি চিঠি লিখে মুখ্য সচিবকে জানাবেন। একই সঙ্গে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
এখনো পর্যন্ত এবিষয়ে শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সুকান্তর বক্তব্য, একজন সরকারি অধিকারীক কোন ভাষায় কথা বলছেন তাও নজরে রাখা উচিত। তিনি বলেন, বিডিওরা তৃণমূলের দলদাস হিসেবে কাজ করে। আমার প্রশ্ন একজন সরকারি আধিকারিক কি এইভাবে কথা বলতে পারেন?
সুকান্তর সঙ্গে ওই প্রাক্তন বিডিওর যে কথা হয়েছে তা হল-
প্রাক্তন বিডিও: শুনলাম ওই মনিপুরের মহিলা নাকি সেনা জওয়ানের বউ, স্যার!
লজ্জা! লজ্জা!
তবে হ্যাঁ, আপনারা হারলে কিন্তু আপনাদেরও পরনে কাপড় থাকবে না।
সমবেদনা রইল, আগেভাগে।
সুকান্ত : কে আপনি?
প্রাক্তন বিডিও: শ্রীমান ব্যানার্জি। প্রাক্তন বিডিও হরিরামপুর।
সুকান্ত: আপনি কি সরকারি আধিকারিক?
প্রাক্তন বিডিও: হ্যাঁ আমি একজন সরকারি অধিকারিক।
সুকান্ত: তাহলে কিভাবে এই ধরনের রাজনৈতিক মন্তব্য করতে পারেন আপনি? আপনি কি সরকারি নিয়ম-কানুন জানেন না?
প্রাক্তন বিডিও: কি বলতে চাইছেন? এটার মধ্যে রাজনীতি কোথায়?
সুকান্ত: পরনের কাপড় থাকবে না এই ধরনের মন্তব্যটা তাহলে কি?
প্রাক্তন বিডিও: এটা কি সত্যি না মিথ্যে? কোর্টে মামলা করে দিন।