আমাদের ভারত, ২৪ অক্টোবর: আলিপুরদুয়ারে সাত বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে আবার তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আবারো মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেমন ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তেমনি বিজেপি শাসিত যোগী রাজ্যে এই ধরনের ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাও মনে করিয়েছেন।
গণধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে সাত বছরের নাবালিকাকে। এমনই ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। তদন্তকারীদের দাবি, দেহ পুড়িয়ে দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় সেটা আর হয়নি। ঘটনায় ধৃত তিনজনকে বুধবার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতদের পক্ষ থেকে কোনো আইনজীবী দাঁড়াতে না চাওয়ায় লিগ্যাল এইডের তরফে আইনজীবী দেওয়া হয়। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার বলেন, পকসো আইনে মামলার রুজু করা হয়েছে। তার মধ্যে গণধর্ষণ, খুন সহ একাধিক ধারা রয়েছে। তদন্ত শেষ হবার পরে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “যতদিন এই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় রয়েছেন ততদিন এমন ঘটনা ঘটবে। যোগী রাজ্যে এমন কিছু ঘটলে আদালত পর্যন্ত যেতে হতো না রাস্তাতেই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে নিতো।” অনেকেই বলেছেন সুকান্ত মজুমদার এনকাউন্টারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তদন্তকারীদের অনুমান ১৫ অক্টোবর মূল অভিযুক্ত ৭ বছরের ওই নাবালিকাকে চাউমিন খাওয়ানোর নামে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার এক ঘন্টার মধ্যে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে তারপর শ্বাস রোধ করে খুন করে। বাড়ি থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যেই ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেখানেই তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার ৫ দিন পর শনিবার অন্য দুই অভিযুক্ত বালিকার দেহে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটে চেষ্টা করে। তবে সেই সময় বৃষ্টি হওয়ায় তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। জেরার মুখে পুলিশের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করে সে।
অন্যদিকে নিহত নাবালিকার বাড়িতে যাওয়ার পথে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তাকে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে তা স্পষ্ট হলো বলে জানান তিনি। বিজেপি সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় এলে মানুষের পুলিশ হবে, কোনো দলের নয় বলেও প্রতিশ্রুতি দেন বিজেপি নেতা।