আমাদের ভারত, ১২ জুন: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় অধিকাংশ মৃতদেহই চেনা যাচ্ছে না। দ্রুত সেগুলি শনাক্ত করার জন্য পরিবারের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা চেয়েছে গুজরাট প্রশাসন। আমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডিএনএ নমুনা দিতে বলা হয়েছে। তবেই দেহ শনাক্তকরণের কাজ দ্রুত সম্ভব হবে বলে জানাগেছে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন গুজরাটের স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারি মুখ্য সচিব ধনঞ্জয় দ্বিবেদী। বিমানের যাত্রীদের সম্বন্ধ্যে খোঁজখবর করার জন্য দুটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে ধনঞ্জয় বলেছেন, এয়ার ইন্ডিয়া এ আই ১৭১ বিমানে ২৩০ জন যাত্রী ছিলেন, বিমান কর্মী ছিলেন ১২ জন। বেলা ১টা ৪০মিনিট নাগাদ ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। যেখানে বিমানটি ভেঙ্গে পড়ে সেখানে আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের পড়ুয়া ও কর্মীরা থাকতেন। সেখানেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ জনের বেশি আহতকে সিভিল হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
ডিএনএ নমুনার কথা জানিয়ে ধনঞ্জয় বলেন, যাদের আত্মীয় নিকটজনেরা দুর্ঘটনগ্রস্ত বিমানে ছিলেন তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে বিজে মেডিকেল কলেজে এসে ডিএনএ নমুনা দিয়ে যান যাতে মৃতদহগুলি শনাক্ত করা যায়। এছাড়া বিমানে যারা ছিলেন তাদের সম্বন্ধে কারো কিছু জানার থাকলে দুটি হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। সেখানে যোগাযোগ করা যাবে। যাত্রীদের আত্মীয়দের অপেক্ষা করার জন্য মেডিকেল কলেজের একটি ভবন খুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৩৮ নাগাদ আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডন গেটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এ আই ১৭১। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ভেঙ্গে পড়ে কাছেই বিজে মেডিকেল কলেজ এবং সিভিল হাসপাতালের হোস্টেলের ভবনে ধাক্কা খায় বিমানটি। হোস্টেলের মেসে খাবার খাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। ৭ চিকিৎসকের এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
বিমানযাত্রী ও বিমান কর্মী মিলিয়ে ২৪২ জন ছিলেন বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। এদের মধ্যে ১৬৯ জন ছিলেন ভারতীয়। ৫৩ জন ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক, সাতজন ছিলেন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান ছিলেন বিমানে। আমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, বিমানে কারো বেঁচে থাকার কোনো আশা নেই। এই বিমানেই লন্ডনে যাচ্ছিলেন গুজরাটে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ের রূপানি, তাঁরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানাগেছে।