“ডিএ দিতে না পারায় মমতার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগের ভিত্তি নেই,” সরব সুকান্ত

আমাদের ভারত, ১৭ ফেব্রুয়ারি: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কারণে রাজ্য সরকার ডিএ দিতে পারছে না। অনেক টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে। বার বার মুখ্যমন্ত্রী তথা তার দলের নেতাদের একথা বলতে শোনা গেছে। শুক্রবার বাঁকুড়াতে গিয়েও ওই একই কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি প্রশ্ন তুলেছেন, আপাতত আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে আছে। এই টাকাতেই কি ডিএ দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের? একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন, জিএসটি কর বাবদ টাকা সব রাজ্য থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার নেয়। কিন্তু অন্য রাজ্য কেন এই ধরনের কথা বলে না, যা মুখ্যমন্ত্রী বলেন?

সুকান্ত মজুমদার বলেন, ২০১১ সালে বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য যে পরিমাণ টাকা পেতো সেটা ২০২২ সালে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। সেকথা বলেন না মুখ্যমন্ত্রী। অথচ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সেই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী শুধু মিথ্যে বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।

শুক্রবার বাঁকুড়ায় গিয়ে ডিএ দেওয়ার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি ম্যাজিসিয়ান নই। টাকা দাও বললেই গুপি বাঘার মিষ্টি দেওয়ার মত টাকা আসবে না। টাকা দাও বললে হবে না, টাকা জোগাড় করতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা থ্রি পার্সেন্ট ডিএ দিয়েছি”।

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কেন্দ্রের বঞ্চনা বলতে উনি কি বোঝাতে চাইছেন আমি জানি না, বা বুঝতে পারি না। যদি ধরেইনি কেন্দ্রে আবাস যোজনার টাকা, বা ১০০ দিনের টাকা, যে টাকা এখন বন্ধ আছে সেই টাকার কথা বলছেন, তাহলে প্রশ্ন এই টাকা দিয়ে কি ডিএ দেওয়া
হয়?” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ডিএ তো দিতে হয় রাজ্য সরকারের নিজস্ব রোজগারের টাকা থেকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারছে না ইনকাম বাড়াবো? উনি তো পিসি সরকার, ম্যাজিক জানেন না? তাহলে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিন। উনি কর্মসংস্থানের জোগাড় করতে পারবেন না রোজগার দিতে পারবেন না, ডিএ দিতে পারবেন না, শুধু পদ অলংকৃত করে থাকবেন, দরকার নেই এরকম আপদের। বিদেয় হলে বাংলার মানুষের পক্ষে মঙ্গল।”

একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, ওই জেলায় বিজেপির দুটো এমপি, বেশিরভাগ এমএলএ বিজেপির। তারপরও কোনো কাজ হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওরা কোকিলের মত কাকের ঘরে ডিম পাড়ে। ভোটের সময় উজ্বলা, ভোটের পর পেট্রোলের দাম বাড়ায়, মেয়েদের সম্মান করতে জানে না। আমরা তো তবু পাট্টা দিই।” এর পাল্টা দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, উনি পাট্টা কোথায় দিচ্ছেন? উনি ধাপ্পা দিচ্ছেন। আমাদের এমপিদের জেতানোর পর মানুষ বুঝেছেন বলেই আমাদের এমএলএ’দেরকেও জিতিয়েছেন। আগামী দিনে আবারো আমাদের এমপিদের জেতাবেন। কারণ মানুষ জানে আমাদের এমপিরা কি কাজ করছেন বাঁকুড়ায়। একই সঙ্গে মহিলাদের সম্মান না করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে কাটাছেঁড়া করা আমাদের উচিত নয়। তিনি বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারিক বিষয়ে কাটাছেঁড়া করতে ঢুকতে যাচ্ছি না। আমরা যদি তার পারিবারিক বিষয়ে কাটাছেঁড়া করতে ঢুকি তাহলে ডাস্টবিনের গন্ধ বেরোবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *