আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৬ অক্টোবর : ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার পরও প্রাণে বাঁচল এক যুবক। তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রেল পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জখম যুবকের নাম সজল শেখ। তার বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দিপুর এলাকায়। তার বিরুদ্ধে রেল এবং বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি, ছিনতাই, রাহাজানির অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে আপ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে।
ওই ট্রেনের একটি কোচে সাঁইথিয়া স্টেশন থেকে উঠেছিল সজল শেখ নামে ওই যুবক। মল্লারপুর স্টেশনে নেমে এসে মদ্যপান করে ফের ট্রেনে ওঠে। এরপরেই ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে বচসা থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে সজল। ট্রেনের যাত্রীদের আক্রমণ করতে সে পকট থেকে ব্লেড বের করে। এরপরেই এক যাত্রীর সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কোচের দরজার সামনে ধস্তাধস্তি চলাকালীন ট্রেন যাত্রী তাকে দরজা দিয়ে ঠেলে ফেলে দেয়। সেই ভিডিও ক্যামেরা বন্দি করেন অন্য এক ট্রেন যাত্রী। তিনিই বিষয়টি মুরারই থানায় জানিয়ে ভিডিও দেখান।

ছবি: ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার সময়।
রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ আর পি এফ ওই যুবককে রামপুরহাট – তারাপীঠ রোড স্টেশনের মাঝে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সজল জানায়, কোচে কয়েকজন যাত্রী নিজেদের মধ্যে গালিগালাজ করছিল। সে তার প্রতিবাদ করে। সেই কারণেই আমাকে মারধর করে। আমি তাদের মারতে পকটে থাকা ব্লেড বের করি। তারপর কিভাবে রেললাইনে পড়ে গেলাম জানি না। যখন চেতনা ফিরলো তখন দেখি আমি লাইনের ধারে পড়ে রয়েছি। কিন্তু নিজে থেকে ওঠার ক্ষমতা ছিল না। পরে রেল পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তবে অভিযুক্ত যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

