আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ১১ এপ্রিল: আচরণবিধি না মেনে বাড়ির সামনেই জমায়েতের প্রতিবাদ করেছিলেন এক মহিলা। সেই কারণে আক্রান্ত হতে হল তাঁকে। আর দিদিকে বাঁচাতে গিয়ে মার খেতে হল তাঁর ভাইকেও৷ মারধোরের চোটে ফাটল তাঁর কপাল৷ ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার অন্তর্গত পুরাতন থানা এলাকায়৷ এই ঘটনায় বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
শনিবার সকালে স্থানীয় তৄণমুল নেতা বিভাস সর্দারের উদ্যোগে এলাকার অটো ও টোটোচালকদের খাদ্যদ্রব্য বিতরণ নিয়ে একটি আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। সেইকারণে স্বাস্থ্যবিধিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রায় শ’চারেক অটো ও টোটোচালক ঘটনাস্থলে আসেন৷ লকডাউনের মধ্যে এত লোকের জমায়েত দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার লোকজন, কিন্তু মুখে কেউ কিছু বলার সাহস করেননি। এই অবস্থায় দেবযানী নামে এক মহিলা এগিয়ে আসেন। বাড়ির সামনে এত মানুষের ভিড় না করার অনুরোধ করেন এবং সরকারের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাঁড়ানোর আবেদন করেন। এই প্রথমেই তারা দেবযানী দেবীর উপরে চড়াও হয়৷ এই অবস্থা দেখে দিদিকে বাঁচাতে ছুটে যান তাঁর ভাই বাপ্পা পাল। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারের চোটে তাঁর কপাল ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। এব্যারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৄণমুল নেতা বিভাস সর্দার বলেন ঘটনাটি দুখজনক। তিনি দুঃখজনক বললেও দোষারোপ করেছেন ওই পরিবারকেই। কেন লকডাউন ভেঙে তাঁরা জমায়েত করলেন তার উত্তর না দিয়ে, লকডাউন ভেঙে ওই পরিবার কেন বাড়ির বাইরে বের হল সেই নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷