কুমারেশ রায়, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ জুন:
এক সময় ঘাটাল মহকুমার রামজীবনপুরের তাঁতের শাড়ি প্রসিদ্ধ ছিল। ওই এলাকার তাঁতের বস্ত্রসহ অন্যান্য ব্যবহার্য সামগ্রী পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, ভারতবর্ষেও ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিতে না পেরে তাঁত শিল্পীরা ক্রমশ পিছু হটে। আধুনিক প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই শিল্পে আসছেন না। তাঁত শিল্প ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। তাঁত শিল্পকে আধুনিকীকরণের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
শুক্রবার রামজীবনপুরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো তাঁত শিল্পী এবং কাঁসা-পিতল শিল্পের কারিগরদের সঙ্গে কথা বললেন।এদিন তিনি রামজীবনপুরের তাঁত এবং কাঁসা-পিতল শিল্প সরেজমিনে দেখেন।
মন্ত্রী বলেন, তাঁত শিল্পকে আধুনিকীকরণ করা হবে।আধুনিকীকরণের ফলে তাঁত শিল্পে গতি আসবে। একজন তাঁত শিল্পী দিনে একটা বা দুটো শাড়ি পুরনো পদ্ধতিতে তৈরি করতেন। আধুনিকীকরণের ফলে দিনের চব্বিশটা শাড়ি তৈরি করতে পারবেন একজন তাঁত শিল্পী।
আইআইটির ইঞ্জিনিয়াররা খুব শীঘ্রই রামজীবনপুরে আসবেন এবং কিভাবে তাঁত শিল্পে ছিট তৈরি করতে হয় তা শিল্পীদের হাতে কলমে দেখিয়ে দেবেন বলে জানালেন রামজীবনপুর পৌরসভার প্রশাসক নির্মল চৌধুরী।
এদিন মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো তাঁত শিল্পীদের সাথে কথা বলেন, তাদের সমস্যার কথা শোনেন। নতুন প্রজন্মের ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী যুবক যুবতীদের নামের তালিকা তৈরি করতে বলেছেন মন্ত্রী। তাঁদের আধুনিক তাঁতশিল্প মুখি করে রুজি রোজগারের ব্যবস্থা কিভাবে করা যায়, তা সরকার দেখবে বলে মন্ত্রীর আশ্বাস দিয়েছেন।
এরপরে তিনি কাঁসা-পিতলের কারিগরদের সাথে কথা বলেন। এই শিল্পের আধুনিকীকরণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। আধুনিকীকরণের ফলে কাঁসা পিতলের কলসি সহ বিভিন্ন সামগ্রীর গুণগত মান উন্নত হবে। এ ক্ষেত্রে কর্মসাথী প্রকল্প থেকে কারিগরদের সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
রামজীবনপুর পৌরসভার প্রশাসক নির্মল চৌধুরী বলেন, খুব শীঘ্রই আমরা তাঁত শিল্পী এবং কাঁসা পিতল কারিগরদের নামের তালিকা তৈরি করব এবং রামজীবনপুরের এই শিল্পগুলির গৌরব পুনরুদ্ধার করব।