আমাদের ভারত, মুর্শিদাবাদ, ১৮ ডিসেম্বর: সেচ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে চলতে থাকা গঙ্গার পাড়ের ভাঙ্গন রোধের কাজে চরম গড়মিল আর স্বজনপোষণ ধরে ফেলল গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় ভগবানগোলা ১ নম্বর ব্লকের সুন্দরপুর অঞ্চলের সদাশিব বালিপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রামবাসীরা সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হয়ে তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানায়।
প্রসঙ্গত, ভাঙ্গন প্রবন এলাকা বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদ তথা ভগবানগোলার সুন্দরপুরের সদাশিব বালি পাড়া এলাকায় প্রতিবছর নিয়ম করে গঙ্গার পাড়ে ভাঙ্গন দেখা দেয়। যার ফলে গ্রামের অসহায় কৃষিজীবী মানুষরা ভিটেমাটি খুইয়ে ভবঘুরের মতো অন্যত্র ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হন। এমনকি অনেকে বিঘের পর বিঘে চাষের জমি গঙ্গার গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। আর এই পরিস্থিতিতে ভাঙ্গন বন্ধ করার জন্য সম্প্রতি রাজ্যের সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে সদাশিব বালি পাড়া এলাকায় ৭০০ মিটার পাড় বাধানোর কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে সরকারি সিডিউল মোতাবেক ৯ লাখ বস্তা দিয়ে প্রথমে প্রাথমিকভাবে পাড় বাঁধানো ও পরবর্তীতে পাথরের আস্তরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অথচ সেই নিয়ম ভেঙে মাত্র তিন লাখের কাছাকাছি মাটির বস্তা দিয়ে কোনওরকমে জোড়াতালি দিয়ে এই বিশাল এলাকার গঙ্গার পাড় ভাঙ্গনের কাজ সেরে ফেলতে চাইছে সেচ দপ্তরের লোকেরা। এমনকি এই ব্যাপারে ন্যূনতম ভাবে নজরদারিও করছেন না স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান হারুন-উর-রশিদ বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। সবমিলিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকার দুর্নীতি থেকে শুরু করে স্বজনপোষণের মাধ্যমে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙ্গন এলাকার কাজ তড়িঘড়ি শেষ করে ফেলতে চাইছে প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ। এই ভাবে ভাঙ্গনরোধে কাজ করা হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পুনরায় বড়সড় ধস নামার আশঙ্কা দেখা দেবে এলাকায়।