স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২ আগস্ট: পঞ্চায়েত থেকে নদীর উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করার কথা বললেও তা না করায় গ্রামবাসীরাই নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে নিল। রায়গঞ্জ ব্লকের মহারাজাহাট এলাকার কাঞ্চন নদীর ওপর এই সাঁকো দিয়েই এখন চলাচল করছেন গ্রামের মানুষ। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাঁশের সাঁকো তৈরি করার দুরের কথা বললেও একবারও ঘটনাস্থলে আসেননি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ কাঞ্চন নদীর জলের স্রোতে আচমকাই ভেসে চলে যায় রায়গঞ্জ ব্লকের মহারাজা এলাকায় একটি অস্থায়ী রাস্তা। রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে নদীর জল প্রবল বেগে ঢুকতে শুরু করে গ্রামগুলিতে। অস্থায়ী রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ ঘুরে এলাকার বাসিন্দাদের আসতে হচ্ছে ব্লক সদর রায়গঞ্জ শহরে। জলের তোড়ে রাস্তা ভেঙ্গে চলে যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও স্থানীয় রামপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান কিংবা রায়গঞ্জ ব্লক বা জেলা প্রশাসনের কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে না আসায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার গ্রামবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাওয়ার পর কোনওরকম প্রশাসনিক উদ্যোগ বা ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় পাঁচটি অঞ্চলের সাথে রায়গঞ্জ ব্লক সদরের বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ অস্থায়ীভাবে গড়ে তুলতে গ্রামবাসীরাই উদ্যোগ নিলেন। গ্রামের বাসিন্দারা প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে নিজেরাই চাঁদা তুলে অর্থ সংগ্রহ করে নদীর উপর অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো নির্মান করলেন বলে জানান তারা। ছোটন চৌধুরী নামে এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েত কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে অর্থ সংগ্রহ করে নদীর উপর অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো নির্মান করা হয়েছে।
রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমল সরকার ফোনে জানিয়েছেন, বাঁশের সাঁকো বানানোর ব্যবস্থা করার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে দেখি গ্রামবাসীরাই বাঁশের সাঁকোটি বানানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন। আমি এখানে ওই সাঁকোটির পাশাপাশি একটি নৌকোর ব্যবস্থা করেছি। তাই আমি পঞ্চায়েত এক কর্মীকে নিদর্শ দিয়েছি, পাশের গ্রাম থেকে একজনকে নিয়ে এসে নৌকাটি চালানোর ব্যাবস্থা করার জন্য।