অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ৯ মে: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষককে অবিলম্বে গ্রেফতার না করলে অনশনের পথে হাঁটবেন বলে লিখিত হুঁশিয়ারি দিলেন আসানসোল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের নির্যাতিতা ছাত্রী। এই অবস্থায় কলকাতায় বাংলাদেশের উপ দূতাবাসের তরফে ফের পুলিশ, উপাচার্য এবং পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশী নির্যাতিতা ছাত্রী তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে গিয়ে গত ২২ এপ্রিল মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা পুলিশ, প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের কথা বলেন। বাংলাদেশী ছাত্রীর হোস্টেল থেকে স্টেশন, আদালত কিংবা অন্যান্য জায়গায় যাতায়তের ক্ষেত্রে পুলিশ নজরদারির ব্যবস্থা এবং ওই ছাত্রীর হোস্টেলে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়।
এর পর ১৭ দিন কেটে গেলেও অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রতিবাদে নির্যাতিতা ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তী, মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা চক্রবর্তী, বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলার রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখকে ইমেলে জানিয়ে অনশন শুরু করতে উদ্যত হন। নির্যাতিতার অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার আমাকে নানাভাবে অসহযোগিতা করছেন। ভয় দেখাচ্ছেন। দুর্গাপুর থানা থেকেও পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছি না।
এই অবস্থায় সোমবার বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলার রিয়াজুল ইসলাম আসানসোলের জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের সাথে আবারও টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। রিয়াজুল ইসলাম জানান, “তাঁরা সকলেই আশ্বাস দিয়েছেন যে, অভিযুক্তকে খুব শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।”
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল সকালে আসানসোল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যখন বাজারে বেড়িয়েছিলেন, দুই আততায়ী একটি বাইকে করে এসে তাঁকে আচমকা আঘাত করে। ছাত্রীটি পড়ে আহত হন। তাঁর মোবাইল ফোনের কিছু তথ্য ও ছবি নষ্ট করে দুই আততায়ী ফোনটি ছুঁড়ে ফেলে। এর নেপথ্যে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক সহকারী অধ্যাপকের নামে অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করে ওই ছাত্রী বুধবার সোজা চলে আসেন পার্কসার্কাসে বাংলাদেশ উপ দূতাবাসে। এর পর দূতাবাস কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানোর আবেদন করেন।