রাজেন রায়, কলকাতা, ৬ ফেব্রুয়ারি: খোলাবাজারে এখনই ভ্যাকসিন চালু করতে নারাজ কেন্দ্র। এখনই এই ভ্যাকসিন খোলাবাজারে চালু করে দিলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। শনিবার কলকাতা স্প্রিং ক্লাবে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে এমনটাই বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন। তিনি আরও বলেন, করোনা প্রতিরোধে আগামী মাস থেকে পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের প্রয়োজন ভিত্তিক ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পর চলতি মাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে পুলিশ, সাফাই কর্মী-সহ করোনা যোদ্ধাদের দেওয়া শুরু হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের এই টিকা দেওয়া হবে। এরপর চতুর্থ পর্যায়ে ৫০ বছরের নীচে যারা রয়েছেন, তাদের টিকাকরণ হবে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। প্রত্যেকটি পর্যায় সারাদেশে একই সঙ্গে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে কিছু স্থানীয় সমস্যার জন্য আগে বা পরে ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
এর পরেই এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এখনই খোলা বাজারে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ এই টিকার উপর বিশেষ পর্যবেক্ষণ চলছে এবং এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মাবলী রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে খোলাবাজারে টিকা চালু করা হলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। যখন যেমন দরকার হবে সেভাবে নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড-সহ সব ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক সহায়তা করেছে। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো হতাশাজনক। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে অন্য রাজ্যের মানুষ এ রাজ্যের হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন। কিন্তু, রাজ্যের মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে তাঁর অভিযোগ।