কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৩ জানুয়ারি: সিপিএমের ৩৪ বছরের আমলে ঘাটালে মাস্টার প্ল্যান হয়নি, তৃণমূল সরকারে আসার আগে মাস্টারপ্ল্যানের কথা বলেছিল। কিন্তু মাস্টারপ্ল্যান হয়নি। ঘাটালের মনশুকাতে রবিবার সন্ধ্যায় জনসভাতে বক্তব্য রাখার সময় এই কথাগুলি বলেন বিজেপির সাংসদ এবং দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে লেখা থাকে বাংলার গর্ব মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু বাংলার গর্ব মমতা ব্যানার্জি নয়, বাংলার গর্ব ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, স্বামী বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু, মাতঙ্গিনী হাজরা। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আপনারা একবার বিজেপিকে সুযোগ দিন। দেখুন কিভাবে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন হয়। বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যগুলির বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও শিল্প হয়নি অথচ বিজেপি রাজস্থানের মরুভূমিতে এবং গুজরাটে শিল্প করেছে। তাঁর অারও অভিযোগ, মমতা ব্যানার্জি কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন। সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকরা পশ্চিমবঙ্গে ফসল বিক্রি করতে পারেন না। কারণ সমবায় গুলিতে তৃণমূলের নেতারা সর্বস্তরে দুর্নীতি ঢুকিয়ে দিয়েছে। কৃষি আইনের ফলে কৃষকরা অনেক বেশি স্বাধীনতা পাবেন। ফসলের দাম তারা বেশি পাবেন। তিনি আরও বলেন, আর মাত্র তিন মাস। এরপরে ওই দুর্নীতিবাজ নেতাদের তালিকা ভুক্ত করে বের করে দেওয়া হবে ঘর থেকে। রাজ্যে টেট পরীক্ষা হচ্ছে না ।নিয়োগ বন্ধ করে রেখেছে। কারণ যদি নিয়োগ হয় তাহলে যুবকরা তৃণমূলের নেতাদের ঘরে আর ধরনা দিতে যাবেন না। সেই কারণে নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে নেতারা। শুভেন্দু দা আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন, কারণ শুভেন্দু দার মত নেতাকে তৃণমূল কর্মচারী মনে করত।
সৌমিত্রবাবুর আরও অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস বেকার যুবকের, মা-বোনেদের, সমস্ত মানুষের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। এর জবাব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পাবে। বিজেপি কলকাতায় বসে নেতাদের তৈরি করেনি। বিজেপি নেতারা গ্রামেগঞ্জে তৈরি হয়েছে। ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, যে সাংসদ টিভিতে মুখ দেখায় আর অভিনয় করে তাকে দিয়ে কি উন্নয়ন হবে। তিনি লোকসভায় কোনও কথা বলেন না। রাজ্য যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রাজু সরকার বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঘাটালে মাস্টারপ্ল্যান হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, পিসি ভাইপো কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড সমস্ত টাকা খেয়ে নিচ্ছে।
এদিনের সভায় ছিলেন দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি রাজু আড়ি সহ মহকুমা এবং ব্লকের বিভিন্ন নেতৃত্ব এবং মন্ডল সভাপতিরা।