তৃণমূল সরকার হিন্দু বিরোধী! লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠান বানচাল করতেই ওই দিন টেট পরীক্ষা রাখা হয়েছে, সরব শুভেন্দু অধিকারী

আমাদের ভারত, ৭ ডিসেম্বর: লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্যেই ওই দিনই টেট পরীক্ষা রাখা হয়েছে। রাজ্যের তৃণমূল সরকার হিন্দু বিরোধী। তোষণের রাজনীতি করতেই ওই দিন টেট পরীক্ষার দিন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা।

৮ ডিসেম্বরের বদলে প্রাথমিক টেট হবে ২৪ ডিসেম্বর। আর ওই দিনই লক্ষ্য কণ্ঠে গীতা পাঠের আসরের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ঘোষিত হয়ে আছে। আর সেই দিনই হবে চাকরির পরীক্ষা। আচমকা পরীক্ষার দিন পরিবর্তন নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ হিন্দু বিরোধী। তাই ইচ্ছা করে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির দিন টেট পরীক্ষা রাখা হয়েছে।

২৪ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী উপলক্ষে ব্রিগেডে এক বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে গীতার প্রধান পাঁচটি অধ্যায় পাঠ করা হবে। অন্তত ১ লক্ষ সমবেত কন্ঠে গীতা পাঠ হবে। ব্রিগেডে এই ধর্মীয় সমাবেশ অখিল ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে হচ্ছে। যদিও শোনা যাচ্ছে এর পেছনে রয়েছে বিজেপি সহ সংঘ পরিবার। আয়োজক সংগঠনের দাবি, মোট ৩৬০০ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই কর্মসূচিতে যোগ দেবে। ঐদিন ব্রিগেড ময়দানে উপস্থিত থাকার কথা পুরীর শংকরাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী ও দ্বারকার শংকরাচার্য সদানন্দ সরস্বতী। উপস্থিত থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিকে ৮ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ জানিয়েছে, পরীক্ষার দিন বদল করে ২৪ ডিসেম্বর করা হয়েছে। আর তাতেই আপত্তি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির দিন ইচ্ছে করে পরীক্ষা রাখা হয়েছে যাতে গীতা পাঠ করতে লোক না যেতে পারে। গাড়ি ঘোড়া না পায়। তাই জন্যই এটা করেছে সরকার।

শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এই সরকার সম্পূর্ণ হিন্দু বিরোধী। তোষণের রাজনীতি করে ভোট ব্যাঙ্কের জন্য। অথচ আসলে এরা সংখ্যালঘুদের উপকার চায় না। এগুলো দেখিয়ে তাদের কাছে দরদি সাজার চেষ্টা করে। ভোট পাওয়ার জন্য এসব করে এটাই আসল কারণ। এটা সম্পূর্ণ হিন্দু বিরোধী সরকার।আজ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বিধানসভায় এর তীব্র আপত্তি জানিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ আলোচনার পক্ষপাতি না হওয়ায় বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *