স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৪ ডিসেম্বর: ডিসেম্বর মানেই শীতের আমেজ। কনকনে ঠান্ডায় জমে যায় হাত-পা। তার মাঝেই শীত উপভোগ করেন সাধারন মানুষ। মূলত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে শীতের মরশুম শুরু হয়ে চলে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সারা বছরই প্রায় গরমের মধ্যে দিয়ে কাটিয়ে বছরের এই আড়াই তিন মাসের আরামদায়ক মরশুমের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন সবাই। সেই অনুযায়ী ডিসেম্বরের কয়েকটা দিন যেতে না যেতেই দেখা যায় কুয়াশা। তবে বুধবার সকালে রায়গঞ্জ সহ সমগ্র উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়ে তীব্র কুয়াশার দৃশ্য নজরে আসে। বছরের প্রথম ভারী কুয়াশা ছিল এদিন। ভোরের দিকে একেবারেই নেমে যায় দৃশ্যমানতা। বেলা বাড়লেও তার প্রভাব কমেনি।
সকাল ১১ টা পেরিয়ে গেলেও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। কুয়াশার চাদরে ঢেকে ছিল চতুর্দিক। যাকে ঘিরে যথেষ্টই খুশী রায়গঞ্জের সাধারন মানুষ। দিলীপ চন্দ্র দাস নামে শহরে এক বাসিন্দা প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে বেশ আপ্লুত। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন রায়গঞ্জে এমন কুয়াশার দেখা মেলেনি। তবে এবছরে শুরুতেই কুয়াশার দাপট দেখে যথেষ্টই আশাবাদী শহরবাসী।
এদিকে এই কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় পথদুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছেন চালকরা। তাই গাড়ি চালানোর বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত বলে মনে করছেন বাইক ও গাড়ি চালকরা।
সবমিলিয়ে বুধবারের এই কুয়াশায় মোড়া শহরের সৌন্দর্য যেন আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়।