সুশান্ত ঘোষ, বনগাঁ, ১৭ আগস্ট: রাইস মিলের এক কর্মচারীকে চোর সন্দেহে মারধর। চুরির দায় স্বীকার না করায় তাঁকে বাঁশ হাতুড়ি দিয়ে মার ও ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মারধরের পরেও পরিবারের লোকজনদের ডেকে এনে সালিশি সভা করল তৃণমূলের উপপ্রধান l শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকায়। আহত যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আহতের নাম গোলক সিকদার।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বনগাঁ থানা এলাকার পুরাতন বনগাঁর গনণেশ হালদারের রাইস মিলে কাজ করতেন, গাইঘাটা থানা এলাকার খেদা পাড়ার বাসিন্দা গোলক শিকদার নামে এক যুবকl অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে গণেশ হালদারের রাইস মিল থেকে ৮০ হাজার টাকা খোয়া যায়। তখন গোলক ও আরও এক কর্মচারী রাইস মিলে কাজ করছিলেন। মিলের মালিক গণেশ হালদার ও তার ছেলে সহ কয়েকজন মিলে গোলক সিকদারকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁকে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। বাঁশ, হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে ওই মিলের সামনে ফেলে রাখে –বলে অভিযোগl খবর পেয়ে পরিবারে লোকজন ছুটে আসে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গোলককে উদ্ধার করে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিবারের পক্ষ থেকে রাইস মিলের মালিক গণেশ হালদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

গণেশ হালদারের স্ত্রী পূর্ণিমা হালদার বাঁশ, হাতুড়ি, দিয়ে মারধর ও ইলেকট্রিক শক দেওয়ার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি জানান, ওই যুবককে মারধর করা হয়েছে এবং সে টাকা নিয়েছে বলে স্বীকার করেছেl অন্যদিকে শুক্রবার রাতে স্থানীয় কালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান হিমাংশু মন্ডলের উপস্থিতিতে আহত যুবকের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি সালিশি সভা করা হয়l

সালিশি সভার কথা স্বীকার করে নিয়ে উপপ্রধান সালিশি সভায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন। আহত যুবক গোলক শিকদারের পরিবারের পক্ষ থেকে গোলকের নির্দোষ দাবি করে এই ঘটনার সঠিক বিচারের দাবি তুলেছেl

