খাবার এবং পারিশ্রমিক চাইতে গিয়ে রামপুরহাটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠি পেটা খাওয়ার অভিযোগ শিক্ষকদের

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ১২ জুলাই: অবাধে ছাপ্পা দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল নিরাপদ স্থানে। আর নির্বাচনে গণনার পর হকের খাবার এবং পারিশ্রমিক চাইতে গিয়ে বিডিও-র প্রচোনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের অমানুষিক লাঠি পেটায় জখম হলেন শিক্ষকরা। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকজন শিক্ষকের। ঘটনার প্রতিবাদের বিডিও’র শাস্তির দাবিতে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হন আক্রান্ত শিক্ষকরা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের বিষ্ণুপুর রসমঞ্জরী হাইস্কুলে। ওই স্কুলে মঙ্গলবার চলছিল রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের ভোট গণনা।

অভিযোগ, সারাদিন খাবার ও পানীয় জল দেওয়া হয়নি গণনার কাজে যুক্ত কর্মীদের। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ গণনার কাজ শেষ করে সেইসব কর্মীরা খাবার নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে হাজির হন। পাশেই চলছিল ভোট কর্মীদের পারিশ্রমিক দেওয়ার কাজ। সেই জমায়েতের মধ্যেই নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগে কিছু অস্থায়ী কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভ সামলাতে মাইকে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ডাকা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী সাত পাঁচ না দেখে বিডিও অফিসের নির্দেশে বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লাঠির আঘাতে আহত হন প্রায় কুড়ি জনেরও বেশি শিক্ষক। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের আঘাত গুরুতর। আহত শিক্ষকের নাম ইউসুফ শেখ, সত্য প্রামাণিক সহ অনেকে। ঘটনার সুবিচার চেয়ে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হন শিক্ষকরা। তারা রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন।

শিক্ষক প্রকাশ পটুয়া, শিবরাজ দাস বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছে সেটা নিন্দনীয়। আমরা ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি”।

গণনার কাজে নিযুক্ত শিক্ষক বাপি বায়েন, আতিকুর রহমানরা বলেন, “সকাল থেকে ছোট্ট খুপড়ি ঘরের মধ্যে গণনার কাজ করতে হয়েছে। জল, টিফিন ছিল অপ্রতুল। রাতে কাজ সেরে পারিশ্রমিক নিতে গিয়ে জুটলো অমানুষিক মারধর”।

বিডিও রাজীব পোদ্দার বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ডাকিনি। তবে খাবারের ঘরে প্রচুর ভিড় হওয়ায় এবং বিক্ষোভ দেখানোয় দায়িত্বে থাকা কর্মীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী ডেকেছিল”।

রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *