আমাদের ভারত, ৬ মার্চ: বাংলায় তৃণমূলের মাফিয়া রাজ শেষ করতে নারী শক্তির জাগরণ ঘটেছে। সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় উঠবে। আজ প্রত্যাশা মতোই সন্দেশখালি নিয়ে আরও ঝাঁঝ বাড়িয়ে রাজ্যের সরকার ও শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী। জয় মা দুর্গা বলে আজ ভাষণ শুরু করে বক্তব্যের পরতে পরতে নারী শক্তির জয়গান যেমন গাইলেন তেমনি বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন সন্দেশখালিতে যে ঝড় উঠেছে সেটাই তৃণমূলের গ্রহণে পরিণত হয়েছে।
ভারতের উন্নয়নের অঙ্গ হিসেবে কিভাবে নারী শক্তি যুক্ত হয়েছে আজকের সমাবেশ তারই সাক্ষী, বুধবার বারাসতে জনসভায় দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, বিজেপি নেতৃত্ব এনডিএ সরকারে আসা নিশ্চিত দেখে ইন্ডি জোটের ঘুম উড়ে গিয়েছে। তাদের নেতৃত্ব বারবার আমাকে গালি দিয়ে গিয়েছে। এখন ওরা জানতে চাইছে মোদীর পরিবার কোথায়? ওরা এখানে এসে দেখুক এই সমাবেশে উপস্থিত মা-বোন এবং দেশের সাধারণ মানুষ আমার পরিবার। বাংলার প্রত্যেক মা- বোন আমার পরিবার।
মোদী বারাসতে মা-বোনেদের মা দুর্গার সাথে তুলনা করেছেন। মোদী বলেন, “মোদীর শরীরের প্রতিটি অংশ, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের মাতৃ শক্তির জন্য সমর্পিত। যখন মোদীর কোনো কষ্ট হয়, তখন এই মা বোনেরা কবচ হয়ে মোদীর রক্ষার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে। আমার জন্য বাংলার মা বোন দুর্গার মত উঠে দাঁড়ায়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলার মাটি নারী শক্তির অনেক বড় কেন্দ্র। এখানকার নারী শক্তি দেশকে দিশা দেখিয়েছে। এই ভূমি মা সারদা, রানি রাসমণি, বীণা দাশ, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত সহ অনেক নারীশক্তির উত্থানের সাক্ষী। কিন্তু তৃণমূল এই ভূমিতে নারী শক্তিকে অত্যাচার করেছে। মা বোনের উপর অত্যাচার করে তৃণমূল ঘোর পাপ করেছে। সন্দেশখালিতে যা করেছে তাতে যে কারোর মাথা লজ্জায় নুয়ে যায়। কিন্তু তৃণমূলের কোনো কিছুই যায় আসে না, এরা অপরাধীকে বাঁচাতে সম্পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে।”
তিনি বলেন, “গরিব আদিবাসী দলিত বোনেদের তৃণমূলের নেতারা অত্যাচার করেছে কিন্তু তৃণমূল নিজেদের নেতার উপর ভরসা করেছে, অথচ আমাদের মা-বোনেদের উপর ভরসা নেই। তাই মা বোনেরা এবার পথে নেমেছেন।” তৃণমূলের উদ্দেশ্যে ভবিষ্যতবাণী করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা-বোনেদের এই রাগ সন্দেশখালিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না। পুরো রাজ্যে সন্দেশখালির ঝড় উঠবে। তৃণমূলের মাফিয়া রাজকে শেষ করতে বাংলার নারী শক্তি এগিয়ে এসেছে। সন্দেশখালি দেখিয়ে দিয়েছে, মা-বোনেদের আওয়াজ কেবল বিজেপি। তুষ্টিকরণ তোলাবাজদের নিয়ে কাজ করা তৃণমূল সরকার কখনো মা- বোনেদের সুরক্ষা দিতে পারবে না। যেখানে ভারতের কেন্দ্র সরকার ধর্ষণের মতো ঘটনায় ফাঁসির মতো শাস্তির বিধান এনেছে, সঙ্কটের সময় যাতে তাড়াতাড়ি অভিযোগ জানানো যায়, তার জন্য হেল্প লাইন চালু করেছে, কিন্তু তৃণমূল সরকার এটা চালু হতে দিচ্ছে না। এরা মা-বোনেদের কথা ভাবে না।”
তাঁর কথায় , ভারতের নারী শক্তি বিকশিত ভারতের একটি স্তম্ভ। জন ধন যোজনার কোটি কোটি মহিলা খাতা খুলেছেন, তার মধ্যে তিন কোটি মহিলা পশ্চিমবঙ্গের। সেলফ হেল্প গ্রুপে ১০ কোটির বেশি মহিলা রয়েছে, তার মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখের বেশি মহিলা পশ্চিমবঙ্গের। তাঁর দাবি, এভাবেই মহিলা শক্তিকে আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে পদক্ষেপ করবে তৃতীয় মোদী সরকার।

