আলিপুরদুয়ার, আমাদের ভারত, ১৫ সেপ্টেম্বর: উত্তরবঙ্গের সাংসদদের মাধ্যমে এবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে চলেছে পর্যটনমহল।নেপথ্যে প্রতিবেশী দেশ ভূটানের চালু করা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি সংক্ষেপে এসডিএফ।পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন এতোয়া ইতিমধ্যেই ভারত ভূটান সীমান্তের জয়গাঁ-র পর্যটন ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার পর্যটন মহলের একাংশদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এতোয়ার সাধারণ সম্পাদক সন্দীপন ঘোষ জানান,”ভূটানে যদি একজন সাধারন পর্যটককে প্রবেশ করতে হয় তাহলে এখন শুধুমাত্র একদিনের প্রবেশ মূল্য ১২০০ টাকা দিতে হবে। এতে পর্যটকরা হতাশ হবেন। অনেকে হয়ত আর যেতেও চাইবেন না। আমরা গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারস্থ হব। এছারাও আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিংয়ের সাংসদদের গোটা বিষয়টি জানাবো।”
উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে এমনিতেই পর্যটন শিল্প সঙ্কটে রয়েছে। প্রতি বছর শীতের মরসুমের আগে পরে আলিপুরদুয়ার হয়ে প্রচুর পর্যটক ভূটান ভ্রমণে যেতেন। তবে এবার আশঙ্কা এসডিএফ থাকলে পর্যটকদের সংখ্যা তলানিতে নামবে। অযথা গেটের অর্থ খরচা করে ভূটান যেতে চাইবে না অনেকেই। ভূটানের প্রতি আগ্রহ হারাবে মানুষ। ভূটান এসডিএফ কমিয়ে দিক।দাবিটি গত ৬ মাসে একাধিকবার উঠেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের দিক থেকে। তবে যেহেতু ভূটান প্রতিবেশী দেশ, স্বাভাবিকভাবেই এখানে রাজ্যের পর্যটনমহলের কিছুই করার নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ নিতে হবে। ভূটান বাদে ডুয়ার্সেও দ্রুত রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য আবেদন করা হবে বলে জানান সন্দীপন ঘোষ।
উল্লেখ্য, পর্যটন মহলের মতে আলিপুরদুয়ার জেলায় ৫৫টি পৃথক জনজাতির বসবাস।যার নজির রাজ্যের দ্বিতীয় কোনও জেলায় নেই।আদিবাসী লোক সংস্কৃতি আরও নিবিড়ভাবে তুলে ধরা হলে তা মানুষকে আকর্ষণ করবে। এদিকে ১৬ সেপ্টেম্বর জঙ্গল খুলছে না। তা ইতিমধ্যেই পরিস্কার।পর্যটনমহল দ্রুত জঙ্গল খোলার আবেদন রেখেছেন।