“কয়লার মালিক রাজ্য সরকার হবে না, হবে কেন্দ্রীয় সরকার”

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ১৪ মে:
“রাজ্য সরকার একটা তেলকল, ধানকল চালাতে পারে না, তারা কিভাবে খোলামুখ কয়লাখনির মালিক হবে। আদতে এটা চলে যাবে কোম্পানির হাতে। মালিক হবে পুজিঁপতির কেন্দ্রীয় সরকার”। শনিবার একথা বলেন, সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস। সারা ভারত অগ্রগামী কিষাণ সভার ১০ম রাজ্য সম্মেনের প্রকাশ্য সভা শনিবার অনুষ্ঠিত হল রামপুরহাট পুরসভার মাঠে। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের বাংলা কমিটির সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা সম্পাদক দীপক চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকে। সভাপতিত্ব করেন দলের বাংলা কমিটির সদস্য রেবতি ভট্টাচার্য।

সভার শুরুতেই নরেন চট্টোপাধ্যায় পুলিশ ও সিভিকদের প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বলেন, “পুলিশ সিভিক যারা আছেন ভেবে নিন একটা দু’টো বছর পর বাংলার পরিবর্তন হবে। তখন কোথায় যাবেন? মিথ্যা মামলা দিচ্ছন। জমি থেকে উচ্ছেদ করছেন।এখন তৃণমূল কর্মীরা কোনো লাড়াইয়ের ময়দানে নেই। লড়াইয়ের ময়দানে তৃণমূলের পক্ষে রাজ্য সরকারে পুলিশ আর সিভিক ভলান্টিয়ার”।

দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, “কৃষকের মাটির তলায় সোনা থাকলে সেই কৃষক সোনার মালিকানা পাবে। কাউকে জোর করে উচ্ছেদ করা যাবে না। এখানে খোলামুখ কয়লাখনি হলে দূষণে ভরে যাবে রাজ্য। শান্তিনিকেতনে আর শান্তি থাকবে না। এমনিতেই বীরভূম জেলা অশান্তির আবহে রয়েছে। আরও অশান্তি বাড়বে”। তিনি আরও বলেন, “কয়লাখনির মালিক রাজ্য হবে না। হবে পুঁজিপতি কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের মাধ্যমেই আদানি, আম্বানির কয়লা উত্তোলন করে মুনাফা লুটবে। আর জেলার মানুষ অশান্তি ভোগ করবে”। এদিন মঞ্চ থেকে দেবব্রতবাবু জানিয়ে দেন, আগামী ২৫ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত কৃষকদের স্বার্থে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *