আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৫ মার্চ: পানিহাটির ‘ফুসফুস’ বলে পরিচিত অমরাবতী মাঠ। বেশ কিছুদিন ধরে পানিহাটির সোদপুর- মধ্যমগ্রাম রোডের ধারে অমরাবতী মাঠটি জমি হাঙ্গরদের নজরে পড়ে। বিক্রির জল্পনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এবার সেই বিতর্ক বন্ধ করতে ময়দানে নামলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, এই মাঠ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তা ভাবনা ও নির্দেশের কথা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে জমি হাঙরের দল চেষ্টা করছে এই জায়গাকে নিয়ে বহুতল নির্মাণ করার। এর নেপথ্যে শাসক দলের মদত আছে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে বারবার। প্রায় ৮৫ বিঘার মাঠটি রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও মানবাধিকার সংগঠন কর্তৃপক্ষ। পানিহাটি পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ওই মাঠের মালিক ‘সোসাইটি ফর দ্য প্রোটেকশন অব চিল্ড্রেন ইন ইন্ডিয়া’ (এসপিসিআই)। মাঠের একাংশে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ‘এসপিসিআই’ পরিচালিত একটি ছেলেদের হোম ছিল। সেটি বন্ধ হওয়ার পরে মাঠটি কার্যত পরিত্যক্ত। মাঠের একাংশে পুরসভার অস্থায়ী ভাগাড়, কিছু অংশে ঝোপজঙ্গল রয়েছে। রাস্তা সংলগ্ন মাঠের জমিতে কিছু দোকান রয়েছে। বর্তমানে এই মাঠে বিখ্যাত পানীহাটি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই মাঠ হস্তান্তরিত হওয়ার খবর সামনে আসতেই তার প্রতিবাদে পানিহাটি বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে এবং পানিহাটি নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আন্দোলনে পথে নামা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন জায়গায় এই জমি নিয়ে তারা চিঠি করে, সই সংগ্রহ করে বলা হয় যে, অমরাবতী মাঠ সরকার অধিগ্রহণ করে জনস্বার্থে ব্যবহার করুক।
অবশেষে এই গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে আসে এবং তিনি যত দ্রুত সম্ভব এই মাঠটি রাজ্য সরকার যাতে অধিগ্রহণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর। এদিন সাংসদ পার্থ ভৌমিক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাকে এই মাঠের বিষয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা কি থাকবে সেটা জানানোর দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই মতো এদিন পার্থ ভৌমিক বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দেখেছেন পানিহাটির প্রাণ কেন্দ্র এই অমরাবতী মাঠটি নিয়ে মানুষে আবেগ রয়েছে। তাই এবার রাজ্য সরকার এই মাঠ অধিগ্রহণ করে ভেস্টেড ল্যান্ড করে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করবে বলে ঠিক করেছে।