নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা: বিজেপির অনুরোধ মেনে লকডাউন প্রত্যাহার না করায় রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, আসলে পরোক্ষভাবে মুসলমানদের খুশি করতেই আজকে লকডাউন করা হয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য যাতে হিন্দুরা আজকের দিনে রামের পুজোয় অংশ নিতে না পারে। এর পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করে রাজ্য সরকার উদ্দেশ্য বলেন, আজকের মত এই দিনটাকে প্রতিবছর ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
বুধবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ শেষে সাংবাদিকদের বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, রাজ্য সরকার আজ লকডাউনের ডাক দিয়েছে। খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কারন মানুষ এদিন ছুটির মেজাজে থাকবেন। বাড়িতে বসে টিভিতে অযোধ্যার ভূমিপুজো দেখবেন সাধারন মানুষ। দিলীপ ঘোষ বলেন, আজ আমরা ভেবেছিলাম রাম মন্দিরের শিলান্যাস উপলক্ষে কাঁসর, ঘন্টা বাজিয়ে দিনটিকে উদযাপন করব, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা করে সব বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রী’কে বলছি প্রতিবছর রাম মন্দির নির্মাণের এই দিনটিকে আপনি জাতীয় ছুটি ঘোষণা করে দিন।
তিনি বলেন, রাম মন্দির নিয়ে সকলের আশা ছিল। সেই আশা আজ পূরণ হবে। রাজ্যসরকার গায়ের জোরে বাংলায় পূজাপাঠ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, তা সত্বেও জায়গায় জায়গায় সাজসজ্জা করা হয়েছে, মন্দিরে মন্দিরে সাজানো হয়েছে। পতাকা লাগানো হয়েছিল, কিন্তু পুলিশ সেগুলো খুলে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে। নারায়ণপুরে মন্দিরের সাজসজ্জা করা হয়েছিল। সেখানে ঝামেলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এলাকার মানুষ অভিযোগ করছে, এখানকার ডেপুটি ডেপুটি মেয়রের চেলা চামুন্ডারা এসে ঝামেলা করেছে, গুলি ছুড়েছে, বোমা মেরেছে। রামমন্দিরে পুজো পাঠ করা নিয়ে বন্দুক চলবে এটা আমরা ভাবতে পারিনি। এটাতে মানুষের মনে আঘাত লেগেছে। কিন্তু তা সত্বেও মানুষ এলাকা সাজিয়েছে, মন্দির সাজিয়েছে। মানুষ তাদের ভক্তি-শ্রদ্ধা থেকেই এসব কাজ করছে। কিন্তু এখানকার সরকার সেটা বাধা দিতে চেয়েছে লকডাউন করে। আজকের দিনটাতে লকডাউন প্রত্যাহার করতে বলেছিলাম। কিন্তু মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য রাজ্য সরকার করেনি। এরমধ্যে মুসলিমদের ইদ এবং মহরমের দিন ছুটি বাদ দেয়া হয়েছে, যাতে মানুষ উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে।
আজকের এই দিনটা এসেছে বহু সাধনার পর। কিন্তু সেটাকে আটকানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের আমার মনে হয় পরোক্ষভাবে মুসলিমদের খুশি করার জন্য এসব করছে রাজ্যসরকার। মুসলমানদের কেউ বলেনি যে এই দিনটাতে লকডাউন করা হোক। তাসত্বেও মানুষ সেই চক্রান্ত রুখে দিয়েছে। মন্দিরে মন্দিরে পুজো সকাল থেকেই শুরু হয়েছে। মানুষ সকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছে। রাজ্য সরকারের ফতোয়া অগ্রাহ্য করে প্রচুর পোষ্টার, পতাকা লাগানো হয়েছে।