ছবি: ঘোড়ামারা দ্বীপ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষকে।
আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৯ মে: বুলবুলের ক্ষত শুকতে না শুকতে ঘূর্ণিঝড় আমফানের ভ্রূকুটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকায়। ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে ঘণ্টায় প্রায় দুশো কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে ধেয়ে আসছে আমফান। আর সেই কারণে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন বেশকিছু ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।
ইতিমধ্যেই জেলার চারটি মহকুমায় চারজন অতিরিক্ত জেলা শাসকের নেতৃত্বে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সোমবার বিকেল পর্যন্ত সমস্ত মহকুমায় বিদ্যুৎ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের আধিকারিকরা। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যে সমস্ত ঘূর্ণিঝড় রেসকিউ সেন্টার রয়েছে সেগুলিকে জীবাণুমুক্ত করে সেখানে মানুষজনকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুন্দরবনের গোসাবা এলাকায় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি সেখানে প্রায় ১২০টি স্কুলকে তৈরি রাখা হয়েছে। বাসন্তী এলাকায়ও প্রায় ৪৬ টি স্কুলকে তৈরি রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য স্যানিটাইজার, মাস্ক ইত্যাদির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘোড়ামারা দ্বীপ থেকে কয়েক হাজার মানুষকে সাগরে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে আপাতত গোসাবা, বাসন্তী, নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের মজুত করা হয়েছে।