স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ২৭ জুন: মদ্যপ অবস্থায় শ্বশুর বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ স্ত্রী ও শ্বশুরকে। জামাইয়ের রণচণ্ডী রূপ দেখে ঘর ছেড়ে পলাতক শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার বাইগাছি পাড়ার।
জানা গেছে, গতকাল রাতে শান্তিপুরের এক নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বাস পাড়ার অজয় বিশ্বাস মদ্যপ অবস্থায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাইগাছি পাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ি ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। অজয় বিশ্বাসের স্ত্রী নমিতা বিশ্বাস প্রতিবাদ করতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কোপায়। বাধা দিতে গেলে স্ত্রী এবং শ্বশুর দুজনকেই এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। গুরুতর আহত হয়ে স্ত্রী ও শ্বশুর রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশিরা তাদের উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্ত্রী ও শ্বশুরের শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক সেলাই পড়ে।
খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এরপর ওই মদ্যপ রণচন্ডীমূর্তি জামাই অজয় বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। আহতরা কেমন আছে তা দেখার জন্য শান্তিপুর হাসপাতালে যায় পুলিশ।
স্ত্রী নমিতা বিশ্বাস বলেন শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার প্রায় ১৭ বছর ধরে সহ্য করে আসছি। পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রতিবাদ করিনি কোনওদিন। মাঝেমধ্যেই রণচন্ডী রূপ ধরে মারধর করে। তবে আমার বাবার বাড়িতে ঢুকে এই কান্ড ঘটাবে তা কখনো ধারণাই করতে পারিনি। গুরুতর আহত স্ত্রী নমিতা বিশ্বাসের এখন একটাই দাবি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এবং তার স্বামীর যাতে জেল হয় তার ব্যবস্থা করুক পুলিশ। এই ঘটনায় এখনো চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্ত্রী নমিতা বিশ্বাসের বাপের বাড়ির লোকজনেদের। আর এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়।