সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১২ মার্চ: অসুস্থ নাতিকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে ওষুধ আনতে গিয়ে নিখোঁজ দিদা। ২৪ ঘণ্টা পর হাসপাতাল সংলগ্ন শৌচাগার থেকে উদ্ধার মৃতদেহ। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল। অভিযোগ, ওই শৌচাগারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির কারণে এই ঘটনা। বনগাঁ থানার পুলিশও কোনো সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ করেন মৃতার স্বামী। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনগাঁ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম চপলা হাজরা। বয়স ৪২ বছর। বাড়ি বাগদা থানার নাটাবেড়িয়া এলাকায়।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বছর তিনেকের অসুস্থ নাতি সৌরভ বিশ্বাসকে নিয়ে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল এসেছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ওষুধ আনতে স্বামীর সঙ্গে হাসপাতালের পাশের একটি দোকানে যান। দোকান থেকে স্বামী ফিরে এলেও দেখেন পিছনে তাঁর স্ত্রী নেই। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁর স্বামী। মাইকেও বারবার ঘোষণা করা হয়। এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজিও করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
চপলাদেবীর স্বামীর অভিযোগ, “হাসপাতালের মাইকে ঘোষণা করি। হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে এবং বনগাঁ থানায় নিখোঁজ মামলা করতে গেলেও কেউ অভিযোগ নেয়নি। পুলিশ তার কোনো কথাই শুনতে চাননি। হাসপাতাল চত্বর ও বনগাঁ স্টেশন চত্বরে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করি।” তাঁর অভিযোগ, “হাসপাতাল সংলগ্ন সুলভ শৌচাগারে তিনবার গিয়ে খোঁজার চেষ্টা করলেও সেখানকার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি শৌচালয়ে ঢুকতে দেননি। সকালে খবর পেয়ে দেখি হাসপাতাল চত্বরে শৌচালয়ের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে চপলা। ভিতরে ঢুকতে দিলে হয়তো স্ত্রীকে প্রাণে বাঁচাতে পারতাম।” বনগাঁ থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় মৃতার পরিবার।