আমাদের ভারত, ২১ ডিসেম্বর: “দিনের পর দিন হিন্দুদের ভাবাবেগে এই ধরণের আঘাত চলতে পারে না।” ২ মিঃ ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিয়ো দিয়ে এক্স হ্যান্ডলে রবিবার এ কথা লিখলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি লিখেছেন, “সময় এসেছে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সমাজের এই প্রবণতার বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদে আওয়াজ তোলার, নচেৎ বাঙালি হিন্দুর একমাত্র হোমল্যাণ্ড এই পশ্চিমবঙ্গ, কট্টরপন্থীদের দৌরাত্ম্যে ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থনে বাংলাদেশের যে পরিণতি ঘটিয়েছে ও হিন্দুদের জন্যে যে দুর্বিষহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার অনুকরণ এখানে ঘটতে আর খুব বেশি দিন লাগবে না।
হিন্দুদের উপর, হিন্দুদের দেবদেবীর উপর আক্রমণকারী জেহাদিদের আসল মদতদাতা কারা দেখুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস পুলিশ প্রশাসন এইসব জেহাদিদের ধরতে পারে না, কিন্তু এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠানো, প্রতিবাদী কন্ঠের মানুষদের জেলে পুরতে পারে, যার নমুনা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আমরা দেখেছি। এখন নতুন সংযোজন প্রতিবাদী পোষ্টার সরানো, পুলিশের এখন এটাই কাজ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভায় প্রভু বজরংবলীর মূর্তি ভাঙ্গচুরের প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তি চেয়ে, হিন্দুদের একত্রিত করার আহ্বান জানিয়ে, ভাঙ্গচুর হওয়া বজরংবলীর ছবি সম্বলিত বেশ কিছু ব্যানার হিন্দুরা নন্দীগ্রামের সোনাচুড়া বাজারে লাগিয়েছিলেন। রাতের অন্ধকারে আলো নিভিয়ে নন্দীগ্রামের তেখালি আউটপোষ্টের এসআই লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সেই ব্যানারগুলি খুলছে, শুধু তাই নয়, বজরংবলীর ছবি সম্বলিত সেই ব্যানারগুলিকে রীতিমত পা দিয়ে ভাঙ্গা হয়েছে, ছবিগুলি ছেঁড়া হয়েছে?
কাজ হয়ে যাবার পর পুলিশ আবার সেখানকার আলো জ্বালিয়ে দেয় এবং সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। এটা সরাসরি হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত। এই ধরনের অবমাননা কি অন্য ধর্মের প্রতি মমতা পুলিশ করতে পারবে?”

