আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৭ জুলাই: খেলার মাঠে মেলা করার সিদ্ধান্ত জিইয়ে রেখে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে চলেছে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ নুরুজ্জামান।
মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র তথা কৃষিমন্ত্রীর নির্দেশে বিতর্কিত জায়গায় দোকানঘর করা থেকে পিছু হঠে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে মেলা শতাব্দী প্রাচীন রামপুরহাট হাইস্কুলের জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। স্কুলের সমস্ত সুবিধাকে জলাঞ্জলি দিয়ে ক্লাস রুমের জানলা বন্ধ করে দোকানঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে পরিচালন সমিতি। প্রতিবাদে প্রথম আন্দোলন শুরু করে বামফ্রন্ট। এরপর সমস্ত রাজনৈতিক দল পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়। প্রশাসনের সর্বস্তরে স্মারকলিপি জমা দেয় বিরোধীরা। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই খবর পেয়ে স্কুলের নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি স্কুলে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে নির্মাণ কাজ দেখেন। এরপর প্রধান শিক্ষক এবং পরিচালন সমিতির সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে আশিসবাবু পরিষ্কার জানিয়ে দেন, স্কুলের জায়গায় কোনও অবস্থাতেই দোকানঘর করতে দেওয়া যাবে না। কাউকে পুনর্বাসন দিতে হলে তা দেখবে পুরসভা কিংবা তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। সেই সঙ্গে খেলার মাঠে মেলা করা যাবে না। কালী পুজোর জন্য মাসের পর মাস মাঠে খেলাধুলো বন্ধ করা যাবে না। অবিলম্বে এনিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
মন্ত্রীর সামনে সব কিছু মেনে নিলেও পরে প্রধান শিক্ষক মহম্মদ নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “খেলার মাঠ কয়েক বছরের জন্য মেলা করার লিজ দেওয়া হয়েছে। এখন দু-তিন বছর সেই লিজ রয়েছে। ফলে সেই লিজ থাকা পর্যন্ত তাদের মেলা করতে দিতে হবে। কারণ তারা টাকা দিয়ে রেখেছে। তবে প্রাচীর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে”।
প্রধান শিক্ষকের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন প্রাক্তন ছাত্র অমিতাভ হালদার। তিনি বলেন, “স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি আরশাদ হোসেনের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে মাঠে মেলা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে প্রতি বছর। কোনও অবস্থাতেই খেলার মাঠে মেলা করতে দেওয়া যাবে না। লিজ দেওয়া হলে কিসের ভিত্তিতে দেওয়া হল তাও শ্বেতপত্রে প্রকাশ করতে হবে। খেলার মাঠে মেলা আমরা মেনে নেব না”।