স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৪ মে: বাঁদরের সঙ্গে এক থালায় বসে ভাত খাচ্ছেন সাধু। রোগ-বালাইয়ের কোনও ভয় নেই তার, তিনি জানালেন এই বাঁদর হচ্ছে তার ছেলের মত। তাই তার সাথে তিনি খাবার খাচ্ছেন এতে তার কোনও আপত্তি নেই। এই ঘটনা নদীয়ার শিবনিবাস এলাকায়।
জানাগেছে, শিবনিবাস এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ গোসাঁই সাধুর মত জীবন যাপন করেন। ভিক্ষা করে তার পেট চলে। তিনি তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের এক ছেলে রয়েছে। বাড়িতে রয়েছে এক পোষা বাঁদর। বাঁদরকে বাঁদর বললে গোসাইয়ের গোঁসা হয়। গোসাই আদর করে বাঁদরের নাম রেখেছে গোপাল। গোপাল ইন্দ্রজিৎ ঘোষের আর এক ছেলে। ইন্দ্রজিৎ গোসাঁই তার স্ত্রীর সবিতা গোসাঁইকে নিয়ে লোকের বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। লকডাউনের কারণে এখন সেটাও বন্ধ হয়েছে। সরকারের ত্রাণ সামগ্রীর উপর এখন তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে। ত্রাণের চাল ডালের ওপর চলছে তাদের চারজনের সংসার। আগে গোপালের জন্য ফল আসলেও এখন লকডাউনের কারণে সেটাও হয়ে ওঠে না। গোপালও কোনও প্রতিবাদ করে না। এখন গোপাল বাবা-মার সঙ্গে একই থালায় খাবার খায়।
ইন্দ্রজিৎ গোসাঁই জানান, খুব ছোটবেলায় গোপালকে কামাখ্যার রাস্তা থেকে কুড়িয়ে নিয়ে এসেছিলাম। তখন থেকেই তার স্ত্রী সবিতা গোসাঁই বুকের দুধ খাইয়ে তাকে মানুষ করছেন। এখন তার বয়স দেড় বছর। সেই সময় থেকেই একসাথে খাওয়া দাওয়া এবং ওর বেড়ে ওঠা। বিভিন্ন জার্নাল থেকে জানা যাচ্ছে, এখন পশুপাখির থেকেও করোনার জীবাণু ছড়াচ্ছে, কিন্তু, সাধু সেটা জানেও না, আর তা নিয়ে তার কোনও ভয় নেই।