আমাদের ভারত, ২৮ অক্টোবর: ঝড়খালিতে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধরের ঘটনায় পুলিশি ধরপাকড় জারি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ঝড়খালি কোস্টাল থানার পুলিশ। ধৃতরা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। তবে আহতের পরিবারের দাবি, মূল অভিযুক্ত এখনো অধরা। আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তিনি রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হন।
এই ঘটনার বিরুদ্ধে ঝড়খালি কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুই অভিযুক্ত বিধান বাইন ও দিলীপ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে ঝড়খালি কোস্টাল থানার পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত বাসন্তী বিধানসভার ঝড়খালি বাজারে চার নম্বর মন্ডলের সহ-সভাপতি অমল মন্ডল ও প্রভাস একবর নামে দুই বিজেপি নেতার উপর তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ করে। ঘটনায় তারা গুরুতর আহত হন। বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তারা। শুধুমাত্র বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করার কারণে ওনাদের বাড়ি ছাড়া থাকতে হয় এবং বাড়ি ফিরে এলে শাসক দলের তরফে নৃশংস ভাবে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয় বলে অভিযোগ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের। এদিকে ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল অভিযুক্ত এখনো অধরা বলে অভিযোগ আহতদের পরিবারের।
শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আহত বিজেপি কর্মী এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর দাবি, রাজ্যের শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের ভয়ে দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন আহত বিজেপি নেতা। পুলিশের আশ্বাসের পর এলাকায় ফিরেছিলেন। আর তারপরই তাঁকে মারধর করা হয়। বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি ফিরলেই তাঁদের উপর হামলা চালানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ওনার সাথে দেখা করে শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলাম এবং সর্বদা পাশে থাকার আশ্বাস দিলাম। শুধুমাত্র বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করার কারণে ওনাকে বাড়ি ছাড়া থাকতে হয় এবং বাড়ি ফিরে এলে শাসক দল নৃশংসভাবে মেরে ফেলা চক্রান্ত করে। দু’জনের নামে
এফআইআর করা হলেও একজনকে পুলিশ ধরতে পারেনি। বর্তমানে তৃণমূল শাসক নয়, ভক্ষকে পরিণত হয়েছে এবং প্রশাসন তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এর যোগ্য জবাব দেবে।”
আহত দুই বিজেপি কর্মীকে দেখতে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা পালও।