কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১৪ মে: করোনা অাক্রান্ত হওয়ার পর মুক্ত হয়ে এম অার বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাইয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। পরপর দুটি রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরই বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তিনি।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাইয়ের পুরসভার ৭নং ওয়ার্ডের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল গত ৫ মে। এরপরই তাঁকে বি এম বিড়লা হাসপাতাল থেকে এম আর বাঙ্গুর (করোনা হাসপাতাল) এ স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। চিকিৎসায় দ্রুত সাড়া দিচ্ছেন বলে পরিবারকে প্রথম থেকেই আশার কথা শুনিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। করোনা অাক্রান্ত হওয়ার পর ক্ষীরপাইয়ের ঐ এলাকা সিল করে দিয়েছে। প্রতিদিনই পুরসভা থেকে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। তাঁর পরিবারের প্রত্যেকের করোনা রিপোর্টই ‘নেগেটিভ’ এসেছে ইতিমধ্যে।
আক্রান্ত প্রৌঢ়ের, ‘দ্বিতীয়’ করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল গত ৮ মে এবং তাঁর তৃতীয় করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। এরপরই, গতকাল তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বাঙ্গুর কর্তৃপক্ষ। কাল ১৩ মে দুপুর ২ টার সময়, সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। খুশি, তাঁর পরিবার! পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত কোনো কার্ডিওলজিস্ট এর পরামর্শ নিয়ে তাঁর বুকে পেসমেকার বসানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পেসমেকার যন্ত্র বসানোর জন্যই তাঁকে গত ২ মে বি এম বিড়লা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ইতিপূর্বে, মাত্র এক রাতের জন্য তাঁকে মেদিনীপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে, গত ৯ মে, এই বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরতা এক নার্সের করোনা ধরা পড়ে, যিনি এই ক্ষীরপাইয়ের বাসিন্দা।