আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১ এপ্রিল: করোনার চরম আতঙ্কেও হুঁশ ফেরেনি কুমারগঞ্জে। লকডাউন ভেঙে রেশন দোকানে উপচে পড়ল ভিড়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কাঠগড়ায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জের ১ নম্বর সাফানগর এলাকার একটি রেশন দোকানের ছবি দিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষকে ট্রোল করতে দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পোষ্টে লেখা হয়েছে, সাবধানতা নেই, দেখা নেই পুলিশেরও। এই ভিডিও ভাইরাল করতে বলা হয়েছে। না হলে বিপদ, এমনটাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই পোষ্টে। আর যাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাসিন্দাদের তুলে ধরা ওই পোস্টকে ঘিরে কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়েছে কুমারগঞ্জ পুলিশের ভূমিকা। ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বাসিন্দারাও।
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী বুধবার থেকে জেলা জুড়ে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। তবে করোনার সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি রেশন দোকানগুলিতে সচেতনতার পোস্টার সহ মাইকেও প্রচার করা হয় খাদ্য দপ্তরের তরফে। তার পরেও এদিন জেলার বিভিন্ন রেশন দোকানে উপচে পড়ে সাধারণ মানুষের ভিড়। একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে একপ্রকার ঘেঁষাঘেঁষি করেই রেশন সামগ্রী নিতে থাকেন বাসিন্দারা। আর যাকে ঘিরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হন বাসিন্দারা। এলাকায় পুলিশের দেখা নেই বলেও ট্রোল করে পোস্ট করেছেন বাসিন্দারা। খাদ্য দপ্তরের তরফে পুলিশকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবার কথা বলা হলেও এক্ষেত্রে তেমন কোনও বিষয়ই লক্ষ্য করা যায়নি কুমারগঞ্জে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ট্রোল করে সরব হয়েছেন অনেকেই।
জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত কুমার রায় জানিয়েছেন, পোস্টার ব্যানার সহ যাবতীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে রেশন দোকানগুলিতে। মানুষকে সচেতন রাখতে পুলিশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। তবে প্রথম দিন একটু অসুবিধা হলেও পরবর্তীতে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।