আমাদের ভারত, ১৭ জুন: বাইকে চড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোমবার সকালে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
দিল্লি থেকে বিমানে বাগডোগরা পৌছান রেলমন্ত্রী। সেখান থেকে গাড়িতে বেশ কিছুটা দূরে আসেন। কিন্তু তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে শর্টকাট রুট ধরতে এক ব্যক্তির বাইকের পিছনে বসে রওনা দেন রেলমন্ত্রী। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হেলমেট পরা এক ব্যক্তির বাইকের পেছনে উঠে বসেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এরপর গ্রামের পথ ধরে রওনা দিয়েছেন দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনের কাছে পৌঁছানোর জন্য। কারণ ওই পথ দিয়ে তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মানুষের ভুলে দুর্ঘটনা রুখতে রেল কর্তৃপক্ষ রক্ষা কবচের ব্যবস্থা করেছিল। সেটা কি আদৌ কাজ করেছিল? প্রাথমিকভাবে অনুমান মাল গাড়ির চালক ভুল করে সিগন্যাল না বুঝে শিয়ালদা- মুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের লাইনে ঢুকে পড়েন। কিন্তু মানুষের ভুল সত্বেও তা ঠেকাতে সুরক্ষা ব্যবস্থায় আমদানি করা হয়েছিল অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন ব্যবস্থার। এই ব্যবস্থায় কোনো সিগন্যাল ভঙ্গ ঘটলেও ট্রেন সুরক্ষিত রাখার নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু সেটা এখানে কেন ছিল না সে প্রশ্ন উঠেছে।
কবচ কার্যকর থাকলে চালককে সতর্ক করে দিতে পারতো এবং ট্রেনটি থামিয়ে দিতে পারতো। কারণ একই লাইনে দুটি ট্রেন নিরাপদ দূরত্ব ভেঙে চলে এলে সক্রিয় হয়ে ওঠার কথা কবচের। তাতে ব্রেক পড়ার কথা এবং স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় ট্রেনের গতিরোধ করার কথা।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস সরব হয়েছে। রেল যাত্রা সুরক্ষায় মোদী সরকারের অতীতের রেকর্ড নিয়ে তুলনা করেছেন রাহুল গান্ধী। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার বর্গের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু দুঃখ জনক। মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানাচ্ছি। যারা জখম হয়েছে তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। একই সঙ্গে সমালোচনা করেছেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের। গত এক দশকে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও রেল যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকে কোনো নজর পড়েনি। এর জন্য কংগ্রেস কেন্দ্র সরকারের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন।