পিন্টু কুন্ডু, আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২০ অক্টোবর: স্বাধীনতার ইতিহাসে এই প্রথম বালুরঘাটে দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। শুনতে অবাক লাগলেও বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি ভাবে নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে উদ্বোধন হবে শহরের নিউটাউন ক্লাবের পুজো মন্ডপটি। বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি পুজোর উদ্বোধন করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, যে খবর পেতেই শুধু বালুরঘাট নয় আবেগে ভাসছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর। উচ্ছ্বাস উদ্দীপনায় রয়েছেন ক্লাব উদ্যোক্তারাও। কলকাতার একটি ক্লাবের পুজো উদ্বোধনের পাশাপাশি বালুরঘাটের এই পুজো মন্ডপটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। খোদ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে পুজো উদ্বোধনের এমন স্মরণীয় মুহুর্ত ধরে রাখতে কোনও খামতিই রাখছেন না পুজো উদ্যোক্তারা। কোভিড বিধি মেনে দর্শনার্থীদের এই পুজোর উদ্বোধন দেখার সুবিধা করে দিতে পর্যাপ্ত জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ষষ্ঠীর দিন সকালের এই উদ্বোধনকে ঘিরে ক্লাব প্রাঙ্গনে চলছে এখন শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।
করোনা আবহের মধ্যেও এবছর নিউটাউন ক্লাবের উদ্যোক্তাদের মধ্যে তাদের এই পুজো উদ্বোধনকে ঘিরে শুরু হয়েছে এক আলাদা উচ্ছ্বাস। ক্লাবের পুজোর ৬৭তম বছরকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে এই উদ্বোধন একটা ইতিহাস সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন সকলেই। এবারে নিউটাউন ক্লাবের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ পরির দেশ। প্যান্ডেল জুড়ে থ্রিডি আলোর রোশনার মাধ্যমে দর্শনার্থীদের পরির দেশে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করা হয়েছে। মালদার মহাবীর ডেকরেটার্স দিনরাত এক করে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করে চলেছেন। তবে স্থানীয় শিল্পীদের প্রাধান্য দিয়ে সাবেকী প্রতিমা গড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুবীর দাসকে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হবে। হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই ক্লাব উদ্যোক্তারা মন্ডপের সামনে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, স্প্রে ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছেন। উদ্বোধনের জন্য দুটি এলইডি স্কিনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে। মন্ডপের পাশে একটি মঞ্চ করে একজন শিল্পী নৃত্য প্রদর্শন করবেন। দর্শকরা যাতে স্মরণীয় উদ্বোধন দেখতে পান তার জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে জায়েন্ট স্কিন থাকবে। ঢাক, ঢোল সহ শঙ্খ বাজিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পূজোর উদ্বোধনকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হবে ক্লাব প্রাঙ্গনে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে পুজোর এমন উদ্বোধন দেখতে এখন অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন জেলার মানুষ।
ক্লাব সম্পাদক অরিজিৎ মহন্ত জানিয়েছেন, স্বাধীনতার ইতিহাসে এই প্রথম দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ দিনাজপুরের পুজোর উদ্বোধন করছেন। তারা ক্লাবের তরফে আয়োজনের কোনও ত্রুটি রাখবেন না। সকলের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে।