সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৪ নভেম্বর: চায়না লাইট আর করোনা বিলুপ্তির পথে ঠেলে দিয়েছিল পুরুলিয়ার কুমোরদের পেশা। দেশে চিনা দ্রব্যে নিষেধাজ্ঞা জারি হতেই ফের চাঙ্গা হচ্ছেন মাটির প্রদীপ তৈরির কারিগররা। আর তাই দেওয়ালির আগে নতুন করে পেশার সোনালী আলো দেখছেন তাঁরা।
পেশাটা বংশ পরম্পরায় চলে আসছে পুরুলিয়ার কাটিন পাড়ার কুমোরদের। মাটির প্রদীপ, ঘট ও পুজোর প্রয়োজনীয় উপকরণ তৈরীর কাজ বারো মাস করে থাকেন এঁরা। এছাড়া কলসি, চায়ের ভাঁড় সহ নানা রকম গৃহ সামগ্রীও তৈরি করেন। কাঁচা মাটি, কাঁকর আলাদা করে জল দিয়ে এই সব করার জন্য তৈরি করেন। তার পর একটি একটি করে হাতের নিপুন কায়দায় সৃষ্টি হয় সব মাটির সামগ্রী উপকরণ। তারপর রোদে শুকিয়ে আগুনের তাপে পুড়িয়ে দেওয়া হয় অকৃত্রিম হয়। এত পরিশ্রমের পর মেলে সামান্য লাভ। তবুও ওঁরা থাকেন হাসি মুখে। করোনা কেড়ে নিয়েছিল জীবন জীবিকা। শেষ মুহূর্তে সেই করোনা ফিরিয়ে আনছে স্বর্ণ যুগ। দেশে চিনের তৈরি পণ্য সামগ্রী নিষিদ্ধ হওয়ায় সেই সোনালী দিনের আশায় বুক বাঁধছেন পুরুলিয়ার কুমোররা।
করোনার জেরে লকডাউনের সময় নিজের পেশা বদলে কুলি মজুরের কাজ করছিলেন কার্টিন পাড়ার কুমোর ভগবান কুম্ভকার। চিনা লাইট নিষিদ্ধের খবর পেতেই নিজের মূল পেশায় ফিরে এসেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ” স্বদেশী জিনিসের কদর ও চাহিদা বাড়বে। তাই, মাটির প্রদীপ তৈরি করছি। এছাড়া আগের মতো এবার মাটির অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করছি। ”