আমাদের ভারত, ১৪ ফেব্রুয়ারি: “পুলিশ সরস্বতী প্রতিমার হাত ভেঙ্গেছে।“ বুধবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই অভিযোগ করেন।
সন্দেশখালির কর্মসূচি বন্ধ করতে হোটেলের গেটে নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। তাঁদের চোখে ধুলো দিয়েই সরস্বতী প্রতিমা হাতে হোটেল থেকে বের হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। ইছামতীর পাড়েই শুরু করেন পুজো।
বুধবার সকালে সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল বিজেপির প্রতিনিধি দলের। তবে মঙ্গলবার গভীর রাতেই সন্দেশখালির ১৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। বুধবার সকালে টাকির হোটেলে গিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে বিষয়টি জানান পুলিশ আধিকারিকরা। কর্মসূচি বাতিলের আর্জি জানান। কিন্তু তা মানতে রাজি হননি বিজেপি নেতা।
এর পরই হোটেলের গেটে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। প্রথমে প্রতিমা হাতে হোটেল থেকে বেরনোর চেষ্টা করেন ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ বিজেপির নেতারা। তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় বচসা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কার্যত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হোটেলের অন্য গেট দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা হাতে বের হন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
ইছামতীর পাড়ে প্রতিমা রেখে শুরু হয় পুজো। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম বাগদেবীর আরাধনার সুযোগ দেওয়া হোক। সেই মতো নেতা-নেত্রীরা প্রতিমা নিয়ে বের হচ্ছিলেন। কিন্তু পুলিশ মূর্তি ভেঙ্গেছে। বাংলাদেশে জামাত এরকম করত, এবার বাংলার পুলিশ মায়ের হাত ভেঙ্গে দিয়েছে।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এই অন্যায় আমরা মানব না। শাহজাহানের সমর্থনে যে পুলিশরা রয়েছেন তারাই একাজ করেছেন। বাংলার মানুষ মাফ করবে না।” এর পর পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপড়েনে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্তবাবু।