আমাদের ভারত, ৮ জুন: আবার মুখ পুড়লো পাকিস্তানের। এক জিও ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ তাদের ভ্রান্ত দাবি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।
গত মাসের চার দিনের সামরিক সংঘর্ষে ভারতের আদমপুর এয়ারবেসে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে পাকিস্তানি রিপোর্টে। আর তাতেই মুখ পুড়েছে তাদের।
জিও ইন্তেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ সেই দাবি খন্ডন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, পুরোটাই ডাহা মিথ্যা। ড্যানি অ্যান্ড সাইমন নামের বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, পাক রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তান পাঞ্জাবের আদমপুর এয়ারবেসে হামলা চালিয়ে একটি সুখোই বিমান গুঁড়িয়ে দিয়েছে। যার পরে চলতি বছরের মার্চ মাসের একটি স্যাটেলাইট ছবি শেয়ার করে সাইম্যান বলেন, এটি একটি মিগ ২৯ বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে তার ছবি। ওই ছবিতে ইঞ্জিন টেস্ট প্যাডের পাশে যে ধোঁয়া বা দাগ দেখা যাচ্ছে তা একেবারেই স্বাভাবিক।
কাশ্মীরের বৈসরণ উপত্যকার পেহেলগাঁমে পাক মদদপুষ্ট জঙ্গি হামলায় ভারতের ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুর পর অপারেশন সিঁদুরের অভিযান করে ভারতীয় সেনা। যার জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি। এরপর থেকে একের পর এক মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে পাকিস্তান। চেষ্টা চালাচ্ছে কিভাবে কথার ছেলে মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা যায়।
একের পর এক ভিত্তিহীন দাবি করছে তারা। পরপরই তাদের যুক্তি ভুয়ো প্রমানিত হয়েছে। মুখে চুনকালি পড়েছে পাকিস্তানের।
এর আগে অপারেশন বুনইয়ান অভিযানের সাফল্যের প্রমাণ হিসেবে নিজেদের খোরাক বানিয়েছে পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের হাতে চিনের একটি ছবি তুলে দেন সেনাপ্রধান। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। কারণ ছবিটি ছিল ২০১৯ সালে তোলা চিনা মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের ছবি। যা পাক সেনা প্রধান ভারতে হামলা চালানোর ছবি বলে দাবি করেছিলেন।