স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ১৫ জুন:
ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী মানুষরা বাড়িতে ফিরলেও এলাকার মানুষ খবর না দেওয়ার জন্য ফেসবুক লাইভে উষ্মা করলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর অভিযোগ, করোনা সম্পর্কে তেহট্টের মানুষ সচেতন নয়।
ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, কাল হরিয়ানা থেকে তিনজন কোয়াক ডাক্তার এল তেহট্টে, বাড়িতে থাকলো। ডাক্তার বলে আপনারা কেউ খবর দিলেন না। এটা কি ভাবে হয়? আপনারা যদি সহযোগিতা না করেন আমরা কি বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ পোস্টিং করতে পারি? এর পর করোনা ধরা পড়লে পুরো গ্রামকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করতে হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন এটা কি ভালো হচ্ছে? তিনি বলেন, দ্বায়িত্ব শুধু সরকারের, আমার বা বিডিওর নয়। আপনারা আপনাদের নিজের দায়িত্ব বুঝুন। দ্বায়িত্ব জ্ঞান হীনের মতো কাজ করবেন না।
প্রসঙ্গত জেলায় সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তেহট্ট-১ ব্লকে বেশি। এখনও পর্যন্ত পজিটিভের সংখ্যা ৩২। জেলাতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৯। কাল সন্ধ্যার পর তেহট্ট-১ ব্লকে দুজন পরিযায়ী শ্রমিকের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদের একজনের বাড়ি তেহট্ট- ১ ব্লকের পাথরঘাটা ২ পঞ্চায়েতে। সে স্কুলের কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। আরএকজনের বাড়ি বেতাই ২ পঞ্চায়েত এলাকায়৷ তিনি ভিন রাজ্য থেকে ফেরার পরও বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ছিলেন। দ্বিতীয় ব্যক্তির বাড়িতে থাকা নিয়ে মহুয়া মৈত্র বলেন, তেহট্ট ১ ব্লকে রোজ এরকম হচ্ছে, প্রতিদিন প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক আসছে। পাড়ার লোক, পঞ্চায়েতের যিনি আছেন তিনি জানতেন,তারা বলেনি ফলে পুরো এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন করতে হচ্ছে। আমি বারবার বলছি, পাড়ার লোকজনকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন তেহট্ট-১ ব্লকে মানুষ আসছে। আমি সরকারি ভাবে যা স্টেপ নেওয়ার করছি। তেহট-১ ব্লকের গ্রামবাসীদের বলছি এটা কিন্তু আপনারা ভালো কাজ করছেন না। পাড়ার লোক জানা সত্ত্বেও খবর দেয়নি। প্লিজ আপনারা সতর্ক হন, আমি বার বার বলা সত্ত্বেও মানুষ কেন এরকম করছে? একা আমি বা পুলিশ আধিকারিক সব করতে পারি না, এটা শুধু আমাদের দায়িত্ব নয়। তিনি আরও বলেন, তেহট্ট-১ ব্লকের মানুষকে সতর্ক করছি। তেহট্ট ১ ব্লকে এত পরিযায়ী মানুষ ফিরছে আর আপনারা দায়িত্ব জ্ঞানহীনের কাজ করছেন। এটা প্লিজ যাতে না হয় তার জন্য আমি অনুরোধ করছি।