জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৩০ অক্টোবর: ওড়িশার ভুবনেশ্বরে চিকিৎসাধীন রোগীকে রক্ত দিতে এগিয়ে এলেন দুই যুবক দীপঙ্কর দাস অধিকারী ও প্রণব সামন্ত। এক শিক্ষকের উদ্যোগে জরুরি অপরারেশনের প্রয়োজনে দু-ইউনিট রক্ত পেলেন ওড়িশার ভূবনেশ্বর এআইআইএমএসে চিকিৎসাধীন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং এলাকার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের পৌঢ় সুশান্ত মেইকাপ।
দিন কয়েক আগে ভুবনেশ্বরে বাবাকে চিকিৎসা করতে নিয়ে যাওয়া সুশান্তবাবুর ছেলে উত্তম মেইকাপ বাবার অপারেশনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মারফত যোগাযোগ করেন চুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়ার সাথে। উত্তমবাবু অনুরোধ করেন তাঁর বাবার জন্য কমপক্ষে দু ইউনিট বি পজেটিভ রক্তের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ওই শিক্ষক উত্তমবাবুকে আশ্বস্ত করে নিজের প্রোফাইলের পাশাপাশি অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ফেসবুক গ্রুপগুলোতে রক্তের প্রয়োজনের বিষয়টি পোস্ট করেন। শেষপর্যন্ত সুবর্ণ রৈখিক ভাষা ও সংস্কৃতি গ্রুপের সদস্য জামশেদপুরের বাসিন্দা রাজীব ভুঁইঞার পোষ্টের সূত্র ধরে ঝাড়গ্রাম জেলার ভূমিপুত্র এবং কর্মসূত্রে ভূবনেশ্বরের বাসিন্দা রাজেশ তোরই এক ইউনিট রক্তের ব্যবস্থা করে দেওয়ার এবং পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের ভূমিপুত্র এবং কর্মসূত্রে ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা কটক হাইকোর্টের তরুণ আইনজীবী প্রণব সামন্ত এক ইউনিট রক্ত দেওয়ার কথা জানান। সেইমত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ রক্তের ব্যবস্থা হয়।