আমাদের ভারত, ভাতার, ৮ নভেম্বর :
যাত্রী সেজে গাড়ির চালকের মাথায় রিভালবার ঠেকিয়ে গাড়ি ছিনতাই করলো দুষ্কৃতীরা। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যাত্রী সেজে কলকাতা থেকে চারচাকা গাড়ি ভাড়া করে তিন দুষ্কৃতী।
পথে তারা চালকের গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে মাথায় রিভালবার ঠেকিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এরপর হাত পা বেঁধে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে ওই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আউশগ্রামের কয়রাপুর ও ভাতার থানার মাঝামাঝি এলাকায় রবিবার ভোরে ২ বি জাতীয় সড়কের ধারে ধানজমি থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা হাত পা বাঁধা অবস্থায় আহত চালককে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেন তারা।
গাড়ির চালকের নাম খুরশিদ আহমেদ। বাড়ি কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায়। তিনি জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ কলকাতার রাণি রাসমণি রোড থেকে অজ্ঞাতপরিচয় তিন যুবক তাঁর গাড়িটি ভাড়া করে আউশগ্রামের গোবিন্দপুর আসবে বলে। চার হাজার টাকা ভাড়ার কথা হয়। তার নিজের গাড়ি নিজেই চালাচ্ছিলেন খুরশিদ আহমেদ।
খুরশিদ বলেন,”গোবিন্দপুর আসার পর ওরা বেশকিছুক্ষণ পর বলে এখানে জায়গা ভালো নয়। রাতে থাকা উচিত নয়।ফের শক্তিগড় ফিরে যাবে। তখন আরও ৫০০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে চাইলে রাজি হয়ে যাই। ওদের নিয়ে এদিন ভোরের দিকে শক্তিগড় আসছিলাম। তখনই মাঝপথে পিছন থেকে একজন আমার গলায় দড়ি জড়িয়ে ধরে। পাশে বসে থাকা একজন আগ্নেয়াস্ত্র কপালে ঠেকায়।মারধর শুরু করে।”
খুরশিদ আরও বলেন,”আমি ওই তিনজনের সঙ্গে বেশকিছুক্ষণ লড়াই করি। শেষ পর্যন্ত যখন হার স্বীকার করি তখন ওরা হাত পা বেঁধে ফেলে গাড়ি চালিয়ে বর্ধমানের দিকে চলে যায়।” খুরশিদ জানিয়েছেন গাড়ি নিয়ে পালানোর পাশাপাশি তার কাছে থাকা সাত হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালায়। ”
খুরশিদ জানান, ওই তিনজনের মুখে মাস্ক ছিল।
বেশ কিছুদিন আগে কলকাতায় এক ব্যক্তির সঙ্গে খুরশিদের ঝামেলা হয়েছিল। সেই ঘটনার কথা পুলিশকে জানায় খুরশিদ। ভাতার থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।