স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৯ অক্টোবর: কৃষ্ণনগরের নির্যাতিতার বাড়িতে এসে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি এসপি অফিসের ঢিল ছোড়া দূরত্বে এক যুবতীকে রাস্তার পাশে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি, আত্মহত্যা করে মারা গেছে ওই নির্যাতিতা।
শনিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, নদিয়া দক্ষিণের বিজেপির বিধায়ক তথা কবিয়াল অসীম সরকার, নদিয়া দক্ষিণের জেলা সভাপতি তথা বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জি সহ আরো অনেকে নির্যাতিতার বাড়ি কালিনগর তেঁতুল তলায় উপস্থিত হন।সেখানে গিয়ে বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, “মমতা ব্যানার্জির পুলিশ এবং ডাক্তার যৌথভাবে খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে রিপোর্ট পেশ করেছেন। আর এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এবং অভিযোগকারীকে বেল দেওয়ার জন্য পুলিশ যত রকমের আইনি কার্যকলাপ আছে পুলিশ তা করছে। সেই কারণে নির্যাতিতার পরিবার ন্যায়ের জন্য লড়বে এবং এই লড়াইয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সিনিয়র উকিলরা নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। এছাড়াও ভারতীয় জনতা পার্টির মহিলা মোর্চা এই লড়াইয়ে নির্যাতিতার পাশে দফায় দফায় রাস্তায়ও নামবে। এরপর তিনি আরো জানান, আর জি করের ঘটনার পর থেকে এখনো পর্যন্ত এই ধরনের ৮ থেকে ১০টা ঘটনা ঘটেছে। স্কুলের নাবালিকা মেয়েদের উপর এই ঘটনার প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ফারাক্কা এবং জয়নগরের কুলতলিতে খুন এবং ধর্ষণ হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গে কোনো মেয়ে, কোনো বউ, কোনো দিদি, কোনো বোন এই ধর্ষণকারীদের থেকে সুরক্ষিত নয়। তাই এই ধরনের ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে পদত্যাগ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরজিকর প্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেন। পাশাপাশি তিনি রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি জুনিয়র ডাক্তারদের এই অনির্দিষ্ট কালের অনশনের জন্য হাসপাতালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি হেলথ ডিপার্টমেন্ট ঘেরাও করবে। হাসপাতালে সাধারণ মানুষ যায়। কোনো নেতা যায় না। আমার ঘরের সবাই প্রাইভেট হাসপাতালে যায়। সরকারি হাসপাতালে যায় সাধারণ মানুষ। তাই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নেওয়া রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। হেল্থ ডিপার্টমেন্ট রাজ্য সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, এখানে কোনো কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নেই। তাই ভারতীয় জনতা পার্টির দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নেওয়া হোক ও ধর্মঘটের বাতাবরণ প্রশমিত করা হোক।”