জেলা হাসপাতালে মুখে ভাত বাবা-মার ছেড়ে যাওয়া একরত্তি শিশুকন্যার

আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ৬ সেপ্টেম্বর:
মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে আলিপুরদুয়ার জেলার দলগাঁ বীরপাড়াতে একদল পাষন্ডের হাতে হাসপাতালের ভেতর নিগৃহীত হতে হয়েছিল চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, নার্সদের।কোভিড পরিস্তিতিতে সেই ঘটনার রেশ এখনো টাটকা। তবে, শনিবার মানব সেবার সঙ্গে জড়িতদের চিকিৎসা পরিষেবা, রোগীকে ভালোবাসা স্নেহ–মমতা দিয়ে আগলে রাখার সুন্দর উদাহরণ উঠে এল।

এবারের ঘটনাস্থল আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল। কোভিড পরিস্তিতিতে সব রকম প্রোটোকল মেনে হাসপাতালের ভেতরই বাবা-মার ছেড়ে যাওয়া একরত্তি শিশু কন্যার অন্নপ্রাশন করা হল। জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী ৬ মাসের শিশু কন্যার নামকরণ করেন। প্রথাগত অন্নপ্রাশনের মতোই ধান–দুর্বা দিয়ে আর্শিবাদ করা হয়েছে আঁখিকে। বেজেছে শঙ্খ। মঙ্গল সূচক উলুধ্বনি দিয়েছেন নার্সরা।

জানা গেছে, জন্মের পর শুধুমাত্র মেয়ে, এই অছিলায় আঁখিকে হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে যায় তার বাবা-মা।এমন একটা পরিস্তিতিতে আঁখিকে রাখা হয়েছে জেলা হাসপাতালের নিউট্রিশন রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে। সেখানেই রাত দিন চিকিৎসক, নার্সরাই তার অভিভাবক। হাসপাতাল সুপার চিন্ময় বর্মন জানান, আঁখিকে নিয়ে আমরা একটা সময় খুব চিন্তিত হয়ে পড়ি। ওর চোখের সমস্যা হচ্ছিল। দ্রুত শিলিগুড়িতে নিয়ে চোখের চিকিৎসা করানো হয়। এখন পুরোপুরি সুস্থ সে। অপুষ্টি জনিত সমস্যাটা ছিল। সেজন্য দিনরাত তার দিকে নজর থাকছে আমাদের।”

সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, দুটি চোখ জয় করে এসেছে সে।তাই আঁখি নামটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আর্শিবাদ করছি সে জীবনে বড় হোক। বাবা-মা ছেড়ে গেলেও আপাতত আঁখির যত্ন, স্নেহ মমতার অভাব হবে না। এটুকু আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি। তবে আমাদের আলিপুরদুয়ার জেলা সদরে একটা সরকারি হোম খুব প্রয়োজন। সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ করছি আমরা। চিন্ময় বর্মন বলেন, আমাদের একটি হোমের খুব প্রয়োজন। আঁখিকে কোনও হোমে রাখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *