আমাদের ভারত, ২৫ ডিসেম্বর: চলতি মাসের শুরু থেকেই করোনার বার বারন্ত দেখা গেছে। ইতিমধ্যেই দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা চার হাজার পেরিয়েছে। দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্যে লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে সংক্রমণ, যার মধ্যে অন্যতম কেরল। বর্তমানে ওই রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার পেরিয়েছে। আবার কেরলেই প্রথম করোনার নয়া প্রজাতি জেএন ১- এর হদিশ মিলেছিল। তাই স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক বাড়ছে। শীঘ্রই সংক্রমণ চরমে পৌঁছাতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
দু’ বছর আগের ভয়াবহ পরিস্থিতি যাতে না হয় তার জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গোটা বিশ্বে করোনা আবার হু হু করে বাড়ছে। বিশ্বের ৪০টি দেশের পরিসংখ্যান বোঝাচ্ছে গত এক মাসে ৫০ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে, যার মধ্যে ভারতে করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি জে এন ১-এ সংক্রমিত হয়েছেন ৬৩ জন।
করোনা ভাইরাসের এই নয়া প্রজাতি গুরুতর না হলেও এটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। তাই উদ্বিগ্ন না হয়ে সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। শীঘ্রই সংক্রমণের হার চরমে পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার এক মাস পর সেটা বাড়তে শুরু করে। ফলে ভারতে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সংক্রমণ চরম আকার নিতে পারে। তবে সংক্রমণ একবার চরমে উঠে যাওয়ার পর আবার তা কমতে শুরু করে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়লেও জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত তা থাকতে পারে। তাই নতুন বছরে করোনার ঢেউ কতটা মারাত্মক হয় এখন সেটাই দেখার।
একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতে সংক্রমণের হার এখন অনেকটাই কম। তবে গোষ্ঠী সংক্রমণ যদি শুরু হয় তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু হু হু করে বাড়বে। তাই গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে বিধি নিষেধ মেনে চলা জরুরি বলে জানাচ্ছেন তারা। ফ্লু থেকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। সর্দি কাশি বা কোভিড উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে আইসোলেট হওয়া কথা বলেছেন তারা।