আমাদের ভারত, ২৪ এপ্রিল: কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার পরই তিন বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সেই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে আরো কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতীয় নৌ-সেনা। আরব সাগরে মিসাইল ফায়ার করেছে নৌ বাহিনী। এদিকে কাশ্মীরের পেহেলগাঁও-এ পাহাড়ে উঠছে সেনা জওয়ানরা। আর এতেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি অ্যাকশন শুরু?
প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন, ভারত সর্বশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের খুঁজে বের করবে এবং তাদের কল্পনাতীত শাস্তি দেবে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরব সাগরে পর পর মিসাইল ছোড়ে নৌ বাহিনী। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাক নৌ- সেনার মহড়ার পাল্টা বার্তা দিয়েছে ভারত। আরব সাগরে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে মহড়া শুরু করেছিল পাকিস্তান। ভারতকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল তাদের তরফে। কিন্তু ভারতের নৌ- বাহিনীও বুঝিয়ে দিল আঘাত করলে ভারতের তরফে প্রত্যাঘাত করা হবে নিশ্চিত ভাবেই। সেই কারণেই আইএনএস সুরাত থেকে পরপর মিসাইল ফায়ার করা হয়েছে নৌ- সেনার তরফে। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় জল সীমান্তের নিরাপত্তায় কোনভাবেই ফাঁক রাখা হচ্ছে না।
পাশাপাশি রাফাল, সুখোই এই দুই যুদ্ধবিমানকেও প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। একাধিক সেনা কর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার জন্য তাঁরা তৈরি। দাবি করা হয়েছে, আইএনএস সুরাত থেকে মিসাইল ফায়ার করা আসলে একটা ইঙ্গিত। একটা হুমকি, একটা বার্তা, যে আর কোনো ছেলেখেলা চলবে না।
অন্যদিকে স্থলপথেও তৎপর হয়েছে ভারতীয় সেনা। বৈসরান হামলার পাল্টা হতে চলেছে সেখানে বলে অনুমান অনেকের। পেহেলগাঁওয়ের পাইন জঙ্গলে নেমে পড়েছে ভারতীয় সেনা। পাহাড়জুড়ে তৎপরতা দেখা দেওয়া, তাহলে কি বদলার প্রস্তুতি শুরু করে দিল ভারতও?