রাজেন রায়, কলকাতা, ২ অক্টোবর: রেলওয়ে বোর্ডের স্থায়ী কমিটিতে সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়া নিয়ে এক ব্যবসায়ীর করা মামলায় নাম জড়িয়েছিল অনেক বিজেপি নেতার। ওই মামলার তদন্তে একাধিক বার বিভিন্ন জায়গায় ডেকে মুকুলকে জেরা করেছেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। জারি হয়েছিল গ্রেফতারি পরোয়ানাও। ওই মামলাতেই শুক্রবার দুপুরে আলিপুর আদালতে ৮ পাতার চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। তবে চার্জশিটে বাবান ঘোষ, রাহুল সাউ, সাদ্দাম হোসেন, কমল হোসেন আনসারি (পলাতক)-র নামে ৪ জনের নাম থাকলেও মুকুল রায়ের নাম নেই।
চার্জশিটে পুলিশ জানিয়েছে, কমল হোসেন আনসারির অ্যাকাউন্টে সমস্ত টাকা জমা পড়েছিল, যা পাঠিয়েছিলেন ওই অভিযোগকারী ব্যবসায়ী। ৪টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেখানে বেশ কিছু ভয়েস রেকর্ডিংও রয়েছে। সেই রেকর্ডিংগুলো টেস্টের জন্য চন্ডিগড়ে ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে বড়বাজারে রেলের এক আধিকারিকের কাছ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানো হয় মুকুল রায়কে। তবে তিনি দিল্লির বাসিন্দা হওয়ার কারণ দেখিয়ে আসতে চাননি মুকুল। তারপর তাকে বেশ কয়েকবার নোটিশ পাঠানো হয়। ২০১৯ ফ্রেব্রুয়ারি ব্যাঙ্কশাল আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। তাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন মুকুল। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই তার বয়স ৬৫ হয়ে গিয়েছে। তাই যেখানে তিনি ইচ্ছুক সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সেই মামলায় তাঁকে ১০ দিনের রক্ষাকবচ দেয় আদালত। সেইসঙ্গে কলকাতায় মামলা করার অনুমতি দেওয়া হয়।হাইকোর্টে মামলা করেন মুকুল রায়। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ গ্রেফতারি পরোয়ানা খারিজ করে দেয়। আর এবার চার্জশিটেও নাম বাদ যাওয়ায় পুরোপুরি স্বস্তি মুকুল শিবিরে।