সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৩ নভেম্বর:
পুরুলিয়ার এমএসএ ময়দান আমূল সংস্কারে করে তৈরি হল জাতীয় মানের মাঠ। এর সুবাদে পুরুলিয়া জেলায় প্রথম কোনও মাঠ জাতীয় স্তরের খেলা ধূলা আয়োজন করার জন্য প্রস্তুত হল। আজ মাঠের উদ্বোধন করলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।
এর আগে জেলা ক্রীড়া সংস্থা এমএসএ-র দিকে কেউ আসতেন না। রাতে অন্ধকার মাঠে অসামাজিক কার্যকলাপ চলত। সন্ধ্যে হলেই বসত মদ ও জুয়ার ঠেক। এখন একাধিক হাই-মাস্ট ও স্ট্রিট লাইট বসানো হয়েছে। রয়েছে নৈশ রক্ষী। রোধ করা গিয়েছে অসামাজিক কাজ কর্ম।ভগ্নদশা অফিস বাড়ি, গ্যালারির অবস্থাও তথৈবচ ছিল।এখন গ্যালারির সংস্কার করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দফতর থেকে মাঠের আমূল সংস্কার হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ ব্যয়ে গড়ে উঠল এই স্টেডিয়াম। মেক্সিকান ভেলভেট গ্রাস সবুজ গালিচার চেহারা নিচ্ছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা মানভূম স্পোর্ট্স অ্যাসোশিয়েশন আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করায় পুরুলিয়ায় খেলা-ধূলার চর্চা বেড়ে গিয়েছিল আগেই। ফলে, জেলা ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্যের জোয়ার এসেছে এখন। গত এক বছরে এটা বেশি করে লক্ষ্য করা গিয়েছে। আন্তঃরাজ্য এবং জাতীয় স্তরেও জেলার প্রতিযোগীরা সফল হয়ে ফিরছেন। জেলায় এই প্রথম মহিলা ক্রিকেট দল গড়ে তোলা হয়েছে। চলছে অনুশীলন। এছাড়া, ক্রিকেটের কভার উইকেট তৈরি করা হয়েছে। ভলি ও ব্যাডমিন্টনের নতুন কোর্ট তৈরি হয়েছে। রাতে অনুশীলনের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। তবে, খেলার উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিকাঠামো না থাকায় উৎসাহে খামতি ছিল নবীন প্রজন্মের কাছে।
১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ক্রীড়া সংস্থা। আশির দশক পর্যন্ত এই মাঠটির নাম ছিল জেল গ্রাউন্ড। পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ড বলেও জানতেন অনেকে। সেই সময় কুচকাওয়াজ, নাটক, যাত্রা ও বড় রকমের জলসার আয়োজন হতো। এই মাঠেই রাজ্য এমন কি জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবিদ, ফুটবলার তাঁদের ক্রীড়া প্রদর্শন করেছেন। প্রথম কয়েক দশক ধরে জেলার প্রতিভাবানরা দারুনভাবে নিজেদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে রাজ্য স্তরের জেলার সুনাম করতে সক্ষম হন। পরবর্তীকালে তাঁরা ফুটবল ও বিশেষ করে অ্যাথলেটিক্সে সাফল্য অব্যাহত রেখেছিলেন।