স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ৫ জুলাই: এলাকা থেকে বৃষ্টির জল বের করার জন্য রায়গঞ্জ শক্তিনগরে স্লুইস গেট মেরামতি করল সেচ দপ্তর। রায়গঞ্জ পৌর এলাকার তিনটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হবার দায় পৌরসভার উপর চাপালেন রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। তবে, পৌরপতি সন্দীপ বিশ্বাস বিধায়কের এই অভিযোগের দায় নিতে রাজি নন।
শুক্রবার ভোর থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে রায়গঞ্জ পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড শক্তিনগর, আট নম্বর রমেন্দ্রপল্লী এবং নয় নম্বর ওয়ার্ড কুমারডাঙ্গির একাংশ জলমগ্ন হয়ে যায়। বাড়ি ঘরে জল ঢোকায় এই এলাকার বাসিন্দারা রেল লাইন এবং বেশ কিছু স্কুলে আশ্রয় নেন। রায়গঞ্জ কুলিক নদীর জল সামান্য কমলেও নদী বাঁধের স্লুইস গেট বিকল থাকায় শহরের জল নদীতে নামতে পারেনি। আজ স্লুইস গেট মেরামেতির কাজে হাত লাগান সেচ দপ্তর।
স্লুইস গেট সচল হবার পর শক্তিনগর এলাকার জল খুব সামান্য নামতে শুরু করেছে। আজ কুলিক নদী বাঁধ এলাকা পরিদর্শনে যান রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত।বিধায়কের অভিযোগ খরা মরশুমে সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে স্লুইস গেট এবং বাঁধের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষন করা উচিত ছিল পৌরসভার। পৌরসভা সেই কাজ না করার কারনেই এই এলাকার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গতকাল তিনি জেলা শাসক এবং সেচ দপ্তরের আধিকারিককে স্লুইস গেট মেরামতির জন্য লিখিত জানিয়েছিলেন। সেচ দপ্তর দ্রুততার সঙ্গে স্লুইস গেট মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছে।
বিধায়কের অভিযোগ মানতে চাননি রায়গঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি সন্দীপ বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছেন, এবছর অনেক আগে বর্ষা ঢুকেছে। পৌরসভার সঙ্গে সেচ দপ্তর, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়। ছুটির দিনে কেউ বাঁধে গিয়ে পৌরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারেন। গতকাল পৌরসভার প্রতিনিধিরা যেভাবে মানুষকে সহায়তা করেছেন তখন তো তাঁকে দেখা যায়নি।তবে দুর্গত মানুষ পৌরসভার কাউন্সিলর বরুন ব্যানার্জির উচ্ছসিত প্রশংসা করেন।