আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৫ আগস্ট: “আমি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক সূত্রে বাঁধা। আমার এবং মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য এক, তা হল দেশের উন্নয়ন। শুধুমাত্র কাজের পদ্ধতি আলাদা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানুষের ভালোর জন্যই কাজ করে চলেছেন, আর আমিও তাই। আমার চলার পথের নির্দেশিকা একটাই সেই পথ দেখায় একমাত্র দেশের সংবিধান। আমি সংবিধান মেনে চলি। আমি কোনও অবস্থাতেই রাজনৈতিক হিংসা, রক্তপাত পছন্দ করি না। আমি সব সময় চাই মানুষ অহিংস পথে নির্দিষ্ট গতিতে সুখে শান্তিতে জীবন কাটাক। মানুষের ভালোর জন্য, দেশের উন্নয়নের জন্য আমি সব সময় মানুষের পাশে আছি ও থাকব। আমার কোনও কথার বিপরীত মানে খুঁজতে যাবেন না। আমার এবং মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য একই। মানুষের উন্নয়ন। শুধু দুজনের কাজের পদ্ধতি আলাদা। আমরা পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি” বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর গান্ধী ঘাটে দেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে এসে সাংবাদিকদের কাছে ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে এভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সুসম্পর্কের বার্তা দেন রাজ্যপাল।
এবছর করোনা আবহে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হল ব্যারাকপুর গান্ধী ঘাটে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সহ রাজ্য প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আমলারা। করোনা সুরক্ষায় এদিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গোটা অনুষ্ঠানটি কঠোর ভাবে পরিচালনা করে প্রশাসন। এবছর প্রথম করোনা সচেতনতায় গান্ধী ঘাটে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল না কোন স্কুলের ছাত্রছাত্রী। তবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল গান্ধী ঘাট চত্বরে, ছিল গঙ্গায় জল পুলিশের টহলও। শনিবার সকালে সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর গান্ধী ঘাটে গান্ধীজির স্মৃতি সৌধে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং স্বাধীনতা দিবসে সেই সব বীর বিপ্লবীদের স্মরণ করেন, যারা ভারতবর্ষকে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত করে স্বাধীন করেছিল।