আমাদের ভারত, হাওড়া, ২৮ জুন: তৃণমূলের সদস্যতার কোনও নিয়ম বা প্রমাণপত্র কিছু নেই। বিজেপিতে এটা আছে। দলের পক্ষ থেকে সদস্যদের ফোন করা হয় মেসেজ যায় এটাই তাদের প্রমাণপত্র। এত লোক যে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে তাদের কাছে কোনো প্রমাণপত্র নেই। আসলে তৃণমূলে যোগদান হয় না বহিষ্কার, একটা নাটক। বাগনানের মহিলা খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতা কুশ বেরা ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা রমা বেরাকে দল থেকে বহিষ্কার করা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। রবিবার বাগনানে একটি রক্তদান শিবির এবং বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এই কথা বলেন সায়ন্তন বসু।
তিনি বলেন, কোচবিহারের এক যুব তৃণমূল নেতা মহিলাদের উপর অত্যাচার করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথা সংবাদপত্রে ফলাও করে ছাপা হয়েছিল। দুদিন পরেই তাকেই আবার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যক্রমে দেখা গিয়েছিল। সুতরাং তৃণমূল দলের কোনও সদস্যতাও নেই কোন বহিষ্কারও নেই। এদিন সায়ন্তন অভিযোগ করেন, তৃণমূল দলে একজনই সংবিধান, আইন এবং নীতি নির্ধারক। বাগনানের ঘটনায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের বক্তব্যকে কটাক্ষ করে সায়ন্তন বলেন, মানুষের যখন যাওয়ার সময় হয় তখন তারা ভুলভাল বকে। দলটার যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। মন্ত্রীর বক্তব্য, এটা দলের সংস্কৃতি বলে দাবি করেন সায়ন্তন বসু।
এদিন বিজেপি নেতা রাজু ব্যানার্জি মন্ত্রী অরূপ রায়ের মন্তব্য সম্পর্কে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের সম্মান দিতে পারেন না। আর মন্ত্রী তো দিদির ভাই তাহলে তিনি আর কি বলবেন। এদিন রাজু বলেন, পুলিশের উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে গেছে আগামী দিনে এইসব মানুষ সমাজবিরোধীদের রাস্তায় পিটিয়ে মেরে ফেলবে। তিনি বলেন, রাজ্যে সরকার চলছে না সার্কাস চলছে। রাজু বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসলে কোনও বড় তৃণমূল নেতা গুন্ডা ছাড় পাবে না। প্রত্যেককে জেলের ভাত খাওয়ানো হবে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার চলছে না সার্কাস চলছে। যারা এখন গুন্ডাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন মাস্তানি করছেন অনুব্রত মণ্ডল হোক বা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কাউকে ছাড়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন রাজু ব্যানার্জি।
এদিনের অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী স্বেচ্ছায় রক্তদান করার পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেয়।